বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে, স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন কোচ হাভিয়ার কাবরেরা। তাছাড়া নিজের চুক্তি নবায়ন করতেও ভারত-নেপাল ম্যাচে জয় ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প দরজা খোলা নেই কাবরেরার। সেখানে বাংলাদেশ আজ নেপালের বিপক্ষে ২-২ সমতা করে।

হামজা চৌধুরী | সংগৃহীত
প্রথমার্ধের শুরুতেই নেপাল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। ২৯তম মিনিটে বক্সের বাইর থেকে নেপালি মিডফিল্ডার রহিত চান্দের শটে বাংলাদেশের ডিফেন্সকে ফাকি দিয়ে বল গোলবারের জাল খুঁজে পায়। আর ঐ গোলেই সফরকারীরা এগিয়ে যায়। বাংলাদেশকে ম্যাচে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয়।
বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য! হামজা দেওয়ান চৌধুরী অবিশ্বাস্য!। দ্বিতীয়ার্থের প্রথম মিনিটেই হামজা চৌধুরীর ওভার হেড শটে বাংলাদেশ সমতায় ফেরে। তারপর মিনিট চারেক পরে বাংলাদেশী রাইট উইঙ্গার রাকিব হোসেনকে বক্সের ভিতর ফাউল করে নেপালি খেলোয়াড়। রেফারি সেখানে পেনাল্টি সংকেত দিলে। হামজা চৌধুরী স্পষ্ট কিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা গোলরক্ষক কিরান চেমজং এর বিপরিতে হামজা তার ও বাংলাদেশের লিড বাড়িয়ে নেন দারুন এক স্পট কিকে। ৪৬’ ও ৫০’ মিনিটে হামজার জোড়া গোলে বাংলাদেশ ২-১ গোলে এগিয়ে যায়।
বাংলাদেশ যেটা প্রতিবার করে,বহুবার ফিরে আসে। আজও হয়নি তার উল্টোটা। অতিরিক্ত সময়ে হার,ড্র বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্ন। ৯০+৩’ মিনিটে কর্ণার থেকে আসা বল ব্যাকহিল ফ্লিকে অনন্ত তামাং বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবায়। পারেননি সাদ উদ্দিন,পারলেননা মিতুল মার্মা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২-২ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে। একপ্রকার বলাই যায় ম্যাচটা হামজা বনাম নেপাল ছিল।
তবে দুঃসংবাদ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য,যেখানে দেখা গিয়েছে হামজা চৌধুরী ও জায়ান আহাম্মেদ ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। শঙ্কা যেগেছে ভারত ম্যাচে খেলতে পারবেন তো হামজা,জায়ানরা।