নীল কার্ড) এটি ব্যবহার করা হবে একজন খেলোয়াড়কে ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে থাকার শাস্তি হিসেবে। যদি সে একটি ফাউল করে যা আক্রমণ প্রতিরোধ বা যদি সে রেফারির কাছে অনেক প্রতিবাদ করে। শৃঙ্খলা বাড়ানোর লক্ষ্যে নীল কার্ড চালুর কথা ভেবেছিল আইএফবি।
একটি নীল কার্ড + একটি হলুদ কার্ডের ফলে একটি লাল কার্ড এবং দুটি নীল কার্ডের ফলাফল লাল হবে।
ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) সেই ‘নীল কার্ড’ প্রস্তাব জারি করেন।
নীল কার্ড ম্যাচে ব্যবহার করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রতা সংস্থার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
শুক্রবার ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো সাংবাদিকদের বলেন, এমন কোনো কার্ড যুক্ত করার কথা ভাবছেন না তারা।
তিনি বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ে কোনো নীল কার্ড ব্যবহার করা হবে না। এটা এমন একটা বিষয়, যার কোনো অস্তিত্ব নেই আমাদের কাছে। ফিফা নীল কার্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। ফিফার সভাপতি হয়েও এই বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত ছিলাম না। আপনি যদি কোনো শিরোরাম চান, সেটা হল নীল কার্ডকে লাল কার্ড। খেলার অস্তিত্ব ও ঐতিহ্যও রক্ষা করতে হবে। কোনো নীল কার্ডের ব্যবহার হবে না।’
শনিবার (২ মার্চ) স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইএফবির এজিএমের আগের দিন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সরাসরিই বলে দেন, তার সংস্থা শীর্ষস্তরে ‘সিন বিন’ বা ‘নীল কার্ড’ ব্যবহারের বিরোধী। মূলত তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, এ দফায় নীল কার্ড ব্যবস্থা অনুমোদন পাচ্ছে না।
নীল কার্ড চালু না হলেও হ্যান্ডবল, পেনাল্টি কিক ও গোলকিপারদের জন্য তিনটি নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে আইএফবির এজিএমে।