বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপের ডার্বি,এটা চ্যাম্পিয়নস লিগ। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ১ম লেগে ফল আসেনি। সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে রিয়ালের ঘরের মাঠে বাড়তি চাপের ম্যাচে বায়ার্ন পেরেও পারেনি। ৮৮’ মিনিটের ঝর থেকে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। সুপার বদলেই রিয়াল আসল কাজটা করেছে।
ম্যাচের শুরু থেকে চাপ সৃষ্টি করছিল রিয়াল,বায়ার্নের উপর। বল দখল,আক্রমণ ও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ সব দিক থেকে। তবে বায়ার্নের ঢাল হয়ে দাড়িয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ক্লিনশীট রাখা গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। প্রথম ভাগেই ৮ বার বাচিয়েছে বায়ার্নকে নয়ার।
প্রথমার্ধের খেলা শেষেও দুইদলকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু হওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যেই অর্থাৎ ৬৮’ মিনিটে হ্যারি কেনের লং পাস থেকে,ডেভিস ডি-বক্সের বাইরে থেকে গ্রহন করে,রুডিগারসহ আরও এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল জালে পাঠান।
তখনই রিয়াল মাদ্রিদ ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি পরিবর্তন করারন। টনি ক্রুস ও রদ্রিগোকে তুলে হোসেলু এবং মদ্রিচকে মাঠে নামান। সেখান থেকে ম্যাচের নায়ক হতে যাওয়া নয়ান হয়ে উঠেন খলনায়ক। ৮৮ মিনিটে ভিনি জুনিয়রের শট আটকে দেন ঠিকিই,কিন্তু বল নিজের কাছে রাখতে পারেনি। গল প্রতিহত হয়ে হোসেলুর কাছে যায় এবং পারফেক্ট নম্বর ৯ এর মত ফিনিশিং করে মাদ্রিদকে জীবন ফিরিয়ে দেন। তার ঠিক ৩ মিনিট পরে ৯০+১’ মিনিটে সেই হোসেলুর গোলেই ওয়েম্বলির টিকিট কাটে মাদ্রিদ।
থামুন! থামুন!। খেলা এখনও শেষ হয়নি। সংযুক্তি সময়ে বায়ার্ন গোল করলেও। সেটা অফসাইডের ফলে গোল বাতিল হয়। তবে সেটা অফসাইড ছিলনা দাবি করছেন বায়ার্ন খেলোয়াড় থেকে কোচরা। তবে এখানে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বায়ার্ন মিউনিখ কারোরই দোষ নেই। দোষ হচ্ছে রেফারির,সেই বিষয়ে ডিলিট ও থমাস টুখেল যা বল্লেন।
আরও পড়ুনঃ কিলিয়ান এমবাপ্পে কি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন? এমবাপ্পে সাগা কি শেষ হবে?
বায়ার্নের গোল বাতিলে, অফসাইডের বিতর্ক সিদ্ধান্ত ব্যাপারে ডিলিট বলেন,”লাইনসম্যান দুঃখ প্রকাশ করেছে। রেফারির ফ্ল্যাগ উঁচু করার প্রয়োজন ছিল না। সে দেখেছে আমরা সেকেন্ড বল উইন করেছি। সে এটাও দেখেছে, আমরা মাত্রই একটা শট নিতে যাচ্ছিলাম”।
টুখেল বায়ার্ন-মাদ্রিদ ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ধুয়ে দিয়ে বলেন,”রেফারি ও লাইনসম্যানের বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত ছিল। মনে হচ্ছে কেউ আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা সব নিংড়ে লড়াই করেছি, মাঠে সব ঢেলে দিয়ে এসেছি। প্রায় করেই ফেলেছিলাম, এখন রিয়ালকে অভিনন্দন জানাতে হচ্ছে”।
এই অফসাইড নিয়ম নিয়ে বিতর্ক ছিল,আছে,থাকবে। ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির মতো যন্ত্র ও পারেনি এর সমাধান দিতে। আপনার কি মতামত ঐটা কি অফসাইড ছিল,নাকি না। জানাতে পারেন নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে।