মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশ দল।।জবাবে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ২০৮ রান তারা করতে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায়। আফগানিস্তান সফরে ৩-০ তে বাজেভাবে ওয়ানডে সিরিজ হারা পর,ঘরের মাঠে ১ম ওয়ানডেতেই জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।

জয় দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরু বাংলাদেশের। ছবি- বিসিবি
সফরকারীরা শুরুটা ভালই করেছিল। মনে হচ্ছিল খুব সহজেই জিতে যাবে উইন্ডিজরা। তবে খেলার মোড় পাল্টে দেয়, বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল লেগ স্পিনার রিশাদ হোসাইন।
ব্রেন্ডন কিং ও অলিক আথানাজে ৫১ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে তুলে। তবে রিশাদ তাদের জুটি ভেঙ্গে দেন। এরপর কেসি কার্থি ও কিং ইনিংস গুছানো শুরু করে। তবে উইন্ডিজ তাদের ২য় উইকেট হারায় সেই রিশাদ হোসাইনের কাছে। কিংকেও ফিরায় এই রিশাদ। ৮২ তে দলীয় ৩ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানরা ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। কেসি কার্থি ৯(৩০),শাই হোপ ১৫(৩২),রাদারফোর্ড ০(৩), রোস্টন চেইস ৬(১০),গোদাকেশ মতি ৩(১৪),জাস্টিন গ্রেবস ১২(২৩), রোমারিও শেফার্ড ১(২), খরি পিয়েরে ১৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকে এবং জেইডেন সিলস ৩(১০)।
বোলারদের মধ্যে তানভির ইসলাম ১টি,মুস্তাফিজুর রহমান ২টি,মেহেদী মিরাজ ১টি ও ক্যারিয়ার সেরা ওয়ানডে বোলিং করে রিশাদ তুলে নেয় ৬টি উইকেট।
আরো পড়ুনঃ ফিরলেন, খেললেন, গেলেন! শান্ত-তামিম-হৃদয়দের ব্যর্থতায় ওয়ানডেতে সিরিজ হার
এর আগে ১ম ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতক এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে, যিনি করেছেন ৫১ রান। আর অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেছেন ৪৬ রান।
ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ হতাশাজনক। দলীয় স্কোরবোর্ডে মাত্র ৮ রান যোগ হতেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রোমারিও শেফার্ডের ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ৩ রানে ফেরেন সাইফ হাসান। আর পরের ওভারে রস্টন চেজের বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন সৌম্য সরকার, ইনিংস রাঙাতে ব্যর্থ হন অনেকদিন পর দলে ফেরা এই ওপেনারও।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয় মিলে দলকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শান্ত ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন; ৬৩ বলে ৩ চারে ৩২ রান করে খ্যারি পিয়েরের বলে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। এই জুটিতে দল তিন অঙ্ক ছোঁয়, আর হৃদয় তুলে নেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম হাফ-সেঞ্চুরি—যা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তার প্রথম। তবে অল্প পরেই জাস্টিন গ্রিবসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে ফেরেন হৃদয়; ৯০ বলে ৩ চারের সাহায্যে করেন ৫১ রান।
অঙ্কন এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে আরও ৪৩ রান যোগ করেন। ২৭ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন মিরাজ, আর কিছুক্ষণ পর ৭৬ বলে ৩ চারে ৪৬ রানে আউট হন অঙ্কন, অল্পের জন্য মিস করেন অভিষেক ফিফটি।
শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে দুইশ রানের গণ্ডি পার করান।
উইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে জ্যাডেন সিলস নেন সর্বাধিক ৩ উইকেট, জাস্টিন গ্রিবস ও রস্টন চেজ নেন ২টি করে। এছাড়া খ্যারি পিয়ের ও রোমারিও শেফার্ডের ঝুলিতে যায় একটি করে উইকেট।