পঞ্চপান্ডবের সবার বিদায়ের পর যেন ওডিআই খেলাই ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ। কেন এই কথা? কারন টানা ১২ ম্যাচে নেই জয়ের দেখা এই ফরমেটে। শেষমেশ ১ম্যাচ বাকি থাকতেই ওডিআই সিরিজটাও হাত থেকে ফসকালো। বোলাররা ছোট লক্ষ্য নিতে সাহায্য করলেও,ব্যাটাররা টপকাতে পারেনি মাত্র ১৯০ রানও।
শনিবার (১১ অক্টোবর) আফগানিস্তানের কাছে ২য় ওডিআইতে বাংলাদেশ ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে। আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে এর আগে ব্যাট করতে এসে ১৯০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০৯ রানেই অল-আউট হয়ে যায়। যার ফলে আফগানিস্তান ১ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে গিয়েছে।

বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ে ১৯১ রানও তারা করা গেলনা | ছবিঃ এসিবি
বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ এখন পুরো বিশ্বে সেরা পাঁচে অনায়াসেই থাকার মত। বিশেষ করে পেসাররা। আজও বোলাররা শুরুতে আফগানদের চেপে ধরেছিল। সেই চাপ সামলাতে না পেরে,টেনেটুনে ১৯০ স্কোরবোর্ডে যোগ করে। তবে স্বল্প রান তারা করতে এসেও বাংলাদেশের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে দৃষ্যপট পালটে যায়। অপ্রয়োজনীয় শট আর তারাহুরোয় বড় শট খেলার প্রবণতায়,ম্যাচ বেরিয়ে যায় জয়ের কাছ থেকে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু থেকেই ছন্দহীন ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় দল—রানখাতাই খুলতে পারেননি তানজিদ তামিম। ফিরলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হয়ে। জাতীয় দলে ফিরেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না শান্ত। রান আউট হয়ে ফিরলেন মাত্র ৭ রানে।
টপ অর্ডারের ধসের পর কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন সাইফ হাসান। ওমরজাইকে এক চার ও এক ছক্কায় চাপে ফিরলেও পরের বলেই বাজে শট খেলে ক্যাচ তুলে দেন। ২৩ বলে করেন ২২ রান। এরপর মিরাজও টিকতে পারেননি, মাত্র ৪ রান করে ফেরেন ওমরজাইয়ের তৃতীয় শিকার হয়ে।
মাত্র ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তখন দলের ভরসা ছিলেন হৃদয়, জাকের ও সোহান। তবে তারাও ব্যর্থ। রশিদ খানের স্পিনের সামনে একে একে সবাই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হৃদয় করেন ২৪ রান (৩৪ বল), সোহান ১৫। লোয়ার অর্ডারেও ছিল একই চিত্র—জাকের ও তানজিমরাও ফিরেছেন দ্রুত।
অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন রশিদ খান। ৮.৩ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ১৭ রানে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ওমরজাই নেন ৩ উইকেট (৭ ওভারে ২৭ রান)। খারোতির শিকার ১ উইকেট।
এর আগে আফগানিস্তানের ইনিংসে একক নায়ক ইব্রাহিম জাদরান। ১৪০ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৯৫ রান। নবী ও গজনফার করেন সমান ২২ রান করে। বাকিরা ছিলেন নিস্প্রভ।
বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনাররা লড়াইয়ে ছিলেন সামনে। মিরাজ নেন ৩ উইকেট (১০-১-৪৩-৩), রিশাদ ২ উইকেট (৯.৫-০-৩৭-২), তানভীর ১ উইকেট (১০-০-৩৫-১)। পেসার তানজিম তুলে নেন ২ উইকেট (৭-০-৩৫-২)। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাদের সব চেষ্টাই বৃথা গেছে।