ড্রাগাও স্টেডিয়ামে নেমেই কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি ছিল পর্তুগাল। ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা পেতে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না রবার্তো মার্টিনেজের দলের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিষেধাজ্ঞায় না থাকায় তাদের জন্য বড় পরীক্ষা ছিল এই ম্যাচটি। তবু ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও জোয়াও নেভেসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেই চাপ সামলে নিয়েছে পর্তুগাল।
হ্যাটট্রিক করা এই দুই তারকার নৈপুণ্যে তারা ঘরের মাঠে আর্মেনিয়াকে ৯–১ গোলে পরাজিত করে। একই সময়ে গ্রুপের অন্য ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ৩–২ গোলে হারিয়েছে হাঙ্গেরিকে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম সুযোগ পায় পর্তুগাল। ডি বক্সে জায়গা পেয়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজ জোরালো এক শট নেন, কিন্তু আর্মেনিয়ার ডিফেন্ডারের বাধায় তা রুখে যায়। তবে দ্রুতই গোলের দেখা মেলে স্বাগতিকদের।
পঞ্চম মিনিটে রেনেতাও ভিয়েগা রিবাউন্ড থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। ব্রুনোর নেওয়া শট গোলরক্ষকের হাতে লাগলেও ফিরতি বল কাজে লাগিয়ে নিজের অভিষেক গোল উদযাপন করেন ভিয়ারিয়ালের এই মিডফিল্ডার।
১৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় আর্মেনিয়া। মধ্যমাঠ থেকে একক দৌড়ে গ্রান্ড লিওন রেনস ডান দিকে বল বাড়ান স্পের্তসিয়ানের কাছে। তিনি সহজ স্পর্শে লক্ষ্যভেদ করে অতিথিদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেন।
তবে গোল হজমের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে পর্তুগাল। ২৭ মিনিটে গানসালো রামোস দলের দ্বিতীয় গোল করেন। ডিফেন্সের ভুলে পেছনে দেওয়া বল কেটে নিয়ে তিনি সহজেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।
মাত্র দুই মিনিট পর তৃতীয় গোল আসে জোয়াও নেভেসের পা থেকে। ভিতিনহার পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর শট সরাসরি জালে জায়গা নেয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ বনাম ভারত প্রিভিউ: এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাইপর্বে সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচ বিশ্লেষণ
৪০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বল হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। সেখান থেকে নেভেস জোড়া গোল পূর্ণ করেন এবং ব্যবধান আরও বাড়ান।
হাফটাইমে যাওয়ার আগে যোগ করা সময়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ৫–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে বিরতিতে পাঠান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নেভেস হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পান, কিন্তু গোলরক্ষকের সামনে থেকেও বার ছোঁয়া শটে সেটি নষ্ট হয়।
ফার্নান্দেজ অবশ্য ভুল করেননি। ৫৭ মিনিটে গানসালো রামোসের কাটব্যাক পেয়ে তিনি দলের ছয় নম্বর গোলটি করেন।
৭১ মিনিটে প্যানেনকা শটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এরপর ৮০ মিনিটে জোয়াও নেভেসও নিজের তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেন।
ইনজুরি টাইমে জোয়াও ফেলিক্সের পাস থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করে স্কোরলাইন ৯–১ করেন ফ্রান্সিস্কো কোনসেইসাও।
পুরো ম্যাচে বল দখলে আধিপত্য দেখায় পর্তুগাল, ৭৬ শতাংশ পজেশন ছিল তাদের পক্ষে। আর্মেনিয়ার গোলমুখে ৩৪টি শট নেওয়া হয় এবং তার মধ্যে ১৫টি লক্ষ্যভেদ করে।