চ্যাম্পিয়নস লিগে যতবারই সিট-মাদ্রিদ একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ছড়িয়েছে বাড়তি উত্তেজনা। এর পেছনে রয়েছে যুক্তিসঙ্গত কারন বটেও। রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ম্যান সিটি ম্যাচে নক-আউট স্টেজে গত কয়েক মৌসুম ধরে,যে যাকে নকআউট করে টিকে রয়েছে। তারাই শেষ পর্যন্ত শিরোপা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছে। লা-লিগায় বার্সেলোনা-মাদ্রিদের এল-ক্লাসিকো যেমনটা বিখ্যাত সারা বিশ্বে,তেমনি চ্যাম্পিয়নস লিগেও নতুন এল-ক্লাসিকো জমে উঠেছে।
আজ বুধবার (১২ই ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় সিটির ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে রাউন্ড অফ ৩২ এ অর্থাৎ রাউন্ড অফ ১৬ এর প্লে-অফে মুখোমুখি হয় মাদ্রিদ ও সিটি।
বেলিঙ্গহামের গোলে প্রথমবারের মত এতিহাদে জয় নিয়ে মাঠ ছারে মাদ্রিদ | ছবিঃ গেটি ইমেজ
৯’ মিনিটের মাথায় মাদ্রিদ সুযোগ তৈরি করলেও ফাউলের শিকার হয়ে বল জালে জড়াতে পারেনি। সেখানে পেনাল্টির আবোদন জানালেও,শেষ পর্যন্ত সাইডলাইন(২য়) রেফারি অফসাইড ফ্লাগ উচিয়ে দেয়।
এই ঘটনার ৫ মিনিট বাদে একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে রিয়াল মাদ্রিদ। এটা অবশ্যই গোল হওয়া উচিত ছিল। রোদ্রিগো থেকে শুরু হয়ে মেন্ডি ও ভিনির মধ্যে টিকিটাকা ফুটবল শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই শট ব্লক করে দেয় নেথান একে।
আরও পড়ুনঃ বার্সেলোনা-বেনফিকার ৯ গোল,অতপর কামব্যাক যা এর আগে দেখেননি কোচ হান্সি ফ্লিক
কিন্তু মাঠ ছাড়ার আগে কাজের কাজটা করে দিয়ে গিয়েছে গ্রিলিশ। ১৯’ মিনিটের মাথায় মাদ্রিদের অর্ধে ডুকে লং পাসে এসেনসিওকে পরাস্ত করে বল খুজে নেয় গাভার্দিওয়ালকে। সেখান থেকে নিজের বাহু দিয়ে পরবর্তীতে বল তৈরি করে দেন তিনি হল্যান্ডের জন্য। হল্যান্ড সুযোগ হাতছাড়া করেননি। তিনি সেখান থেকে গোল আদায় করে নেয়। এই গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই সিটিয়ানরা প্রথমার্ধ পর বিরতিতে যায়।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৪’ মিনিটের মাথায় মাদ্রিদ আরও একটি বড় সুযোগ তৈরি করে। রোদ্রিগোর লো-ক্রস থেকে এমবাপ্পে শট নিলে সেখানে সিটিকে বাঁচায় এডারসন অসাধারণ সেইভে।
এমবাপ্পের ফ্লাইং শটে ১-১ সমতায় ফিরে মাদ্রিদ | ছবিঃ গেটি ইমেজ
এত এত সুযোগ নষ্ট করার পর ৬০’ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পে মাদ্রিদকে সমতায় ফেরায় কেবাল্লসের এসিস্টে। সিলভার অপ্রোয়জনীয় ট্যাকেলে বক্সের সামনে থেকে ফ্রি-কিক পেয়ে যায় মাদ্রিদ। সেখান থেকে ফ্রি-কিক নেওয়া হলে,সেই শট ব্লকও হয়ে যায়। তবে ফিরতি বলের ডেলিভারি থেকে গোল করে মাদ্রিদ।
৭৬’ মিনিটে ম্যান সিটির হয়ে ফিল ফোডেন একটি পেনাল্টি অর্জন করে নেয়। কেবাল্লস বক্সের ভিতরে ফাউল করে বসে ফোডেনকে। সেখান থেকে ৮০’ মিনিটে স্পটকিক থেকে হল্যান্ড তার এবং দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন।
এডারসনের এক বড় ভুলে,পাস চলে যায় মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের পায়ে। সেখান থেকে দ্রুত ট্রানজিশনে ব্রাহিম দিয়াজের গোলে সমতায় ফেরে মাদ্রিদ ৮৬’ মিনিটে। এবং প্রথমবারের মত সিটির ঘরের মাঠ থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছারে মাদ্রিদ ইনজুরি সময়ে ভিনির বুদ্ধিদীপ্ত এসিস্টে বেলিংহামের গোলে। ৩-২ এর এই জয়ে মাদ্রিদ নিজেদের ঘরের মাঠে খেলাকে সামনে রেখে বেশ এগিয়ে গেল।
আগামী ২০ই ফেব্রুয়ারী একই সময়ে ২য় ও শেষ লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই জায়ান্ট। কে কাটবে শেষমেশ রাউন্ড ১৬ এর টিকেট আর কেইবা সবার আগে ফিরবে বাড়ি?।