৪-২ এ পিছিয়ে পড়ে শেষ মুহুর্তের গোলে বার্সেলোনার ৪-৫ গোলের কামব্যাক জয়। পৃথিবীর কোনো স্ক্রিপ্ট রাইটারের পক্ষে এই স্ক্রিপ্ট লেখা সম্ভব না। শেষ কবে এমন পাগলাটে ম্যাচ বিশ্ব দেখেছে তা মনে করা কষ্টকর। কোচ হান্সি ফ্লিক ২৯ বছরেও যা দেখেননি!
শেষে যোগ করা সময়ে গোল দিয়ে ম্যাচ বের করে আনেন বার্সেলোনার অধিনায়ক রাফিনা | ছবি: এএফপি
বার্সেলোনার জঘন্য ডিফেন্ডিং, শেজনির জঘন্য সুইপিং কিপিং, পেনাল্টি কন্সিড করা, আরাউহোর আত্মঘাতী গোল ছিলো। বেনফিকার পক্ষ থেকেও বার্সেলোনার জন্য উপহার ছিলো দুইটা পেনাল্টি। রাফিনহার ভুতুড়ে গোল ছিলো। ছিলো এরিক গার্সিয়ার সমতাসূচক গোল। এরপর শেজনির মারাত্মক একটা সেভ ছিলো। শেষ মুহুর্তে বেনফিকার পাওয়া ফ্রিকিক থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে রাফিনহার গোলে জয় পেলো বার্সেলোনা।
শুধু বার্সেলোনার কোচ কেন, লিসবনে গতকাল রাতে যা ঘটেছে, তেমন কিছু অনেকেই এর আগে কখনো দেখেননি। স্কোরলাইন ৯ গোলের, যেটা আসলে থ্রিলার। দুবার ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সার অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। স্কোরলাইনও অনন্য—চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ৫-৪ গোলের ম্যাচ এই প্রথম। যেখানে ৩-১ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে গিয়ে ৭৭ মিনিট পর্যন্তও ৪-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত জিতেছে বার্সাই! উঠেছে শেষ ষোলোতেও।
এরকম থ্রিলার ম্যাচ এর আগে কখনো দেখেনি বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক | ছবি: ফেসবুক
এমন একটা ম্যাচের পর ফ্লিক তাই গর্ব নিয়েই বলেছেন, ‘সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় হলো আমাদের মানসিকতা। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছি, যেটা সুন্দর। আর এটাই ফুটবল, এ কারণেই আমরা খেলাটিকে ভালোবাসি। আমার মনে হয় না কখনো এমন ঘুরে দাঁড়ানো দেখেছি। এটা অবিশ্বাস্য।’