অলিখিত সেমিফাইনালে গতকাল বুধবার (৫ই ফেব্রুয়ারী) মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগারস। খুলনাকে ২ উইকেটে হারায় শেষ ওভারের রোমাঞ্চিতভাবে চিটাগং। এই জয়ে চিটাগং ৭ই ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) ফরচুন বরিশালের সাথে ফাইনাল খেলবে।
খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে চিটাগং। ছবি- সংগৃহীত
কোয়ালিফায়ার-২ এর নকআউট স্টেজের ডু অর ডাই ম্যাচে খুলনা টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩ রান তুলে। তার জবাবে চিটাগং শুরু ভাল করেও,মাঝখানে খেইল হারিয়ে ফেললেও,শেষ ওভারের রোমাঞ্চকতায় ২ উইকেটের জয় পায় চিটাগং কিংস।
খুলনার ওপেনাররা এইদিন সুবিধা করতে পারেনি। তবে শেষে ক্যারীবিয় হার্ড-হিটার শিমরণ হেটমায়ারের তান্ডবে ১৬৩ রানের সম্মানসূচক রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে। শিমরন হেটমায়ারের ৬৩, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৪১, নাইম শেখের ১৯ এবং অন্যান্য ব্যাটারদের ছোট ছোট ক্যামিওতে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা। চিটাগংয়ের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন বিনুরা ফার্নান্দো।
চিটাগংয়ের রান তাড়ার শুরুটা ছিল মোটেও আশানুরূপ নয়। উদ্বোধনী জুটিতে ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। ইমন ৬ বলে ৪ রান করে ফেরেন, আর ক্লার্কের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। তবে তৃতীয় উইকেটে খাজা নাফি ও হুসাইন তালাত চিটাগংয়ের ইনিংসকে সামাল দেন এবং ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
১০৫ রানের মাথায় নাসুম আহমেদ তালাতকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভেঙে দেন। তালাত ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও, তখনও ম্যাচের পাল্লা চিটাগংয়ের দিকেই ছিল। তবে এরপরই ধস নামে চিটাগংয়ের ব্যাটিং লাইনআপে। ১৩০ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। একে একে শামিম পাটোয়ারি, খাজা নাফি, খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ মিথুন ফিরে যান। যদিও নাফির ব্যাট থেকে ৫৭ রান আসে, তবে অন্যরা বিশেষ অবদান রাখতে পারেননি।
খুলনা তখন পুরোপুরি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, কিন্তু শেষদিকে আরাফাত সানি ও আলিস মিলে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। শেষ ৩ ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। ১৮তম ওভারে ১৩ ও ১৯তম ওভারে ৬ রান আসায় শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ১৫ রানের।
শেষ ওভারটি করতে আসেন মুশফিক হাসান, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের আস্থার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করেন। প্রথম পাঁচ বলে ১১ রান এলে শেষ বলে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের দরকার ছিল ৪ রান। চাপের মুহূর্তে আলিস দারুণ দক্ষতায় চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
চিটাগংয়ের এই জয়ের নায়ক আলিস ৭ বলে ১৭ এবং আরাফাত সানি ১৩ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া মুশফিক ৩ ওভারে ৩২ রান খরচায় ৩টি ও নাসুম ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন।