প্রথমে এলিমিনেটরে চট্টগ্রামকে,এবার কোয়ালিফায়ার -২ তে রংপুর রাইডারসকে বাড়ি পাঠিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটলো তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। বরিশাল এই নিয়ে ৩ বার ফাইনালে মুখোমুখি কুমিল্লার। বরিশাল বুল্স ১ বার এবং ফরচুন বরিশাল ২* বার। বরিশালের ছুয়ে দেখা হয়নি একবারও বিপিএল ট্রফি। পারবে কি এবার তামিমের দল?
২য় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডারসকে হারিয়ে ফাইনালে ফরচুন বরিশাল | ছবি: সংগৃহীত
বুধবার (২৮শে ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে কোয়ালিফায়ার-২ অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল ও রংপুরের মধ্যকার। তার আগে তামিম বরিশালের হয়ে টসে জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।
বরিশাল বোলিংয়ে এসে দাপট দেখানো শুরু করে। মাত্র ১৮ রানেই রংপুরের ওপেনার ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান বরিশালের বোলাররা। দলের এই কঠিন সময় সামাল দিতে আসা নিকোলাস পুরান ও জিমি নিশাম দলীয় ৪৮ রানে,পর পর ২ ওভারে কাটা পরেন। বরিশালের বিদেশি অলরাউন্ডার জেমস ফুলার ১৫তম ওভারে জোড়া উইকেট নিলে। মাত্র ৭৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে রংপুর চাপে পড়ে যায়।
সেখাম থেকে শামীম হোসেন পাটওয়ারী অবিশ্বাস্য ২০ বলে হাকিয়ে ফেলেন অর্ধশত রান। তার ও আবু হায়দার রনির অবদানে,যেই দলের ১০০ রান পেরোনো নিয়ে ছিল সন্দেহ। তারা অবশেষে ১৪৯ রান করে,সম্মানজনক রান দার করায় ফরচুন বরিশালের ব্যাটারদের সামনে। ফুলার ৩টি,সাইফুদ্দিন ২টি এবং মেহেদী ও মায়ার্স ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রংপুরের দেয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য তারা করতে এসে,বরিশাল কিছুটা ধীর শরু করে। বরিশাল এই দিন ওপেন করায় মেহেদী মিরাজকে। তবে তা কাজে আসেনি।
রংপুর-বরিশালের গত দেখায়,ম্যাচের মোড় ঘোরানো আবু হায়দার রনি আজও সেখান থেকে শুরু করে। রংপুর রাইডারসের উইকেটরক্ষক-অধিনায়ক নুরুল হোসেন সোহান ৪র্থ ওভারে রনিকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন। একই ওভারে তিনি প্রথমে তামিম ইকবাল খানকে এবং মেহেদী মিরাজকে আউট করেন।
তবে সেখান থেকে ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররা পূর্বের ভুল করেনি। মাঝে সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম দলের হাল ধরেন। সৌম্য ব্যাক্তিগত ২২ রানে ফিরে গেলেও। মুশফিকুর রহিম থিতু হয়ে ক্রিজে ছিলেন। তারপরে কাইল মায়ার্স তান্ডব শুরু করে। সেই তান্ডব থামায় ফাজাল হক ফারুকী। তবে ততক্ষণে ম্যাচ বেড়িয়ে গিয়েছে রংপুরের থেকে। মায়ার্স ২৮ রান করে ফিরেন।
শেষমেশ মুশফিকুর রহিম ৪৭* রানে এবং ডেভিড মিলার ২২* রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। আবু হায়দার ২টি এবং ফারুকী ও নবি ১টি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৭ (রনি ৮, মেহেদী ২, সাকিব ১, নিশাম ২৮, পুরান ৩, নবী ১২, নুরুল ১৪, শামীম ৫৯*, আবু হায়দার ১২*; মায়ার্স ৪–০–২২–১, সাইফউদ্দিন ৪–০–২৭–২, ম্যাকয় ৪–০–৫৩–০, ফুলার ৪–০–২৫–৩, মিরাজ ২–০–৯–১, তাইজুল ২–০–৯–০)
ফরচুন বরিশাল: ১৮.৩ ওভারে ১৫২/৪ (মিরাজ ৮, তামিম ১০, সৌম্য ২২, মুশফিক ৪৭*, মায়ার্স ২৮, মিলার ২২*; ফারুকী ৪–০–১৬–১, মেহেদী ২–০–২৫–০, আবু হায়দার ৪–০–৩৭–২, নিশাম ১–০–১৬–০, হাসান ৩–০–১৭–০, নবী ৩–০–২০–১, সাকিব ১.৩–০–১৭–০)।
ফল: ফরচুন বরিশাল ৬ উইকেটে জয়ী।