বার্সে‌লোনা-ইন্টার মিলানের ফাইনালের নেপথ্যে গভীর বিশ্লেষণ

বার্সে‌লোনা-ইন্টার মিলানের ফাইনালের নেপথ্যে গভীর বিশ্লেষণ

  • প্রকাশিত হয়েছে: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ৩৫ বার এই মুহূর্তে
  • শেয়ার করুন

বার্সে‌লোনা,ইন্টার মিলান,বার্সে‌লোনা বনাম ইন্টার মিলান,ফুটবল খবর,ফুটবল আজকে,
বার্সে‌লোনা বনাম ইন্টার মিলান | ছবিঃ গেটি ইমেজ
                       

বার্সে‌লোনা-ইন্টার মিলান ১ম লেগে ৩-৩ গোলে ক্যাম্প-নুতে ড্র করে। বার্সে‌লোনা ও ইন্টার মিলানের দুই এট্যাকিং স্ট্রাইকার লেভান্দস্কি এবং লাউতারো মার্টি‌নেজ খেলতে পারেননি। তবে বারসেলোনা-ইন্টার মিলানের জন্য সু-সংবাদ হচ্ছে তারা দু’জনই ফিরছেন শেষ লেগে। যেটা অলিখিত ফাইনাল ধরা যায়।

বার্সে‌লোনা,ইন্টার মিলান,বার্সে‌লোনা বনাম ইন্টার মিলান,ফুটবল খবর,ফুটবল আজকে,

বার্সে‌লোনা বনাম ইন্টার মিলান | ছবিঃ গেটি ইমেজ


“আমরা মিলানে ফাইনালের আগে ফাইনাল খেলবো!” এটা শুধু ফ্লিকের কথা না এটা সকল বার্সা ফ্যানদের কথা।

প্রথম লেগে একটা নীরব স্নায়ুযুদ্ধ দেখেছি আমরা ফ্লিক আর ইনজাঘির ভেতরে। পুরোপুরি দুটো ভিন্ন ফিলোসফির ক্ল্যাশ, হাইপ্রেসিং অ্যাটাকিং ফুটবল ভার্সেস ডিফেন্সিভ ট্রানজিশনাল ফুটবল। দু’জন ম্যানেজারই তাদের নিজস্ব ফিলোসফির মাস্টার যার ফলাফল চোখের সামনেই আমাদের; বার্সেলোনা ৩-৩ ইন্টার মিলান!

ইনজাঘি এমন একটা ম্যানেজার যে তার গেমপ্ল্যান, ট্যাকটিক্স অপনেন্টের উপর ভ্যারি করেনা, মানে বলতে গেলে সে সবসময় একই স্টাইলে অপনেন্টের সামনে যায়। ৩-৫-২ এ স্টার্ট করবে, একটা-দুইটা গোল এরপর ট্র্যাডিশনাল লো-ব্লক/মিড ব্লক, ফিজিক্যালিটি ইউজ করবে, সেটপিস ইউজ করবে, মোটামুটি এটাই তার গেমপ্ল্যান। বাট সিচুয়েশন ওয়াইজ বিগ ম্যাচ/ক্রুশাল মোমেন্টে যে একটা ট্যাকটিকাল মুভ করতে হবে সেরকমটা ইনজাঘির থেকে দেখা যায়না। বার্সার সাথেও একইরকম অ্যাপ্রোচ ছিলো তার বরং বার্সার সাথে একটু বেশিই বোতলবন্দী ছিলো তার দল।

আরও পড়ুনঃ  বার্সেলোনা-ইন্টার মিলানের ৬ গোলের ম্যাচও ড্র

ফার্স্ট লেগের ফার্স্ট মিনিটেই গোল। ফ্র্যাঙ্কীর এরিয়েল ডুয়েলে লাউতারোর কাছে বিট হয়, যেখানে লাউতারো তার থেকে খাটো+তার পেছনে ছিলো। এরপর বল হেডে লাউতারো থুরামকে পাস দেয় সেখানে ইনিগো থুরামকে রাইটে পাস খেলার সুযোগ দেয় যেটা আই থিংক কোনো স্ট্রাইকারকে দেয়া উচিত না এই পজিশনে বল লুজ করার চান্স থাকলে একটা ফাউলও করা যায় যেটা আরাউহো থাকলে করতো। এরপর স্মুথলি থুরাম টু বারেল্লা টু ডামফ্রিস। প্রথম ক্রস ফেইল, দ্বিতীয় ক্রসে থুরামের গোল এবং এখানে মার্টিনের বড়সড় এরর। ডামফ্রিসকে স্পেস দিয়ে দাড়ায়ে ডিফেন্ড করতেছে বাট হোয়াট এলস্ উই ক্যান এক্সপেক্ট ফ্রম হিম! ম্যাচের শুরুতে ফোকাস+বালদের অভাবে পুরো ফায়দা নিয়ে নেয় ইন্টার, যেরকমটা এতলেটিকো করেছিলো এই সীজনে।

বার্সা প্রেসিং শুরু করলো, বিল্ডআপ করে ইন্টারের হাফে  পিচে ওভারলোড করে দুই ফ্ল্যাঙ্কে স্পেস ক্রিয়েট করলো বাট আনফরচুনেটলি বালদে না থাকায় লামিনের উপর সব ফোকাস ছিলো যার জন্য কমফোর্টেবলভাবে দুইজন দিয়ে প্রতিটা মিনিট তাকে মার্কআপ করে রাখা হয়। বাট স্টিল লামিন ক্রিয়েটেড এনাফ চান্সেস। এরপর ইন্টারের কর্ণার দারুণ বাইসাইকেল কিকে ডামফ্রিসের গোল। এখানে আমার অবজেকশন হচ্ছে ইয়েস আমরা ফিজিক্যালি উইক ইন্টারের তুলনায় বাট কোন যুক্তিতে ডামফ্রিসের মতো প্লেয়ারকে অলমো দিয়ে মার্ক করান! এটা আমার মাথায় আসেনা, যাই হোক এরর হিসেবে তাও মেনে নেয়া যেতো বাট পরপর দু’বার সেটপিস থেকে দুইগোল তাও অলমোর ফিজিক্যাল উইকনেসের কারণে।

লামিন ইয়ামাল,বার্সে‌লোনা,


ইন্টার ৫-৩-২ এ ডিফেন্ড করছিলো। ইন্টারের মিডফিল্ড যখন আমাদের ডবল পিভটকে মার্কআপ করছিলো তখন ফেরান, অলমোর জন্য হাফ স্পেস এক্সপ্লয়েট করা সহজ ছিলো ইভেন কয়েকটা চান্সও ক্রিয়েট হয় বাট কনভার্ট হয়নাই। আর ইন্টারের দুই সিএফ আমাদের সিবি দুজনকে মার্ক করে রাখতেছিলো। ইন্টারের প্লেয়িং স্টাইলে একটা চমক হচ্ছে তাদের ডিফেন্স লাইন উপরে পুশ করে এবং মিডফিল্ডরা ডিফেন্স লাইনে পজিশন টেকওভার করে। এর ফায়দা হচ্ছে সহজে বললে, সিবিদের সচরাচর মার্ক করে থাকে সিএফ সেখানে যখন সিবি/ওয়াইড সিবি উপরে পুশ করবে বল নিয়ে বা অন দ্য বলে তখন দেখা যাবে যে নিজেদের হাফে সেই সিবিকে মার্ক করবে সেই সিএফ। এই জোনাল প্রেসিং ম্যান মার্কিং টাফ করে ফেলে। বাট ফ্লিক এখানেই নাপোলির ম্যাচে কন্তের মতো ম্যান টু ম্যান প্রেসিং করে ইন্টারের এই সুইচিং এডভান্টেজকে ব্লক করে দেয়। বার্সা ফিজিক্যালি ল্যাক করে সেদিক থেকে এটা রিস্কি ছিলো বাট সাকসেস পায়। ফেরান অন অ্যাচেরবি, লামিন অন বাস্তোনি, রাফা অন বিস্যাক, অলমো অন হাকান, পেদ্রী অন বারেল্লা এন্ড সো অন।

ইন্টারের এই সুইচিং না করার আরো একটা বড় কারণ বার্সার কুইক ট্রানজিশন টু অ্যাটাক ফেজের জন্য, কারণ ইন্টার স্লো-স্টাড গেম খেলে অভ্যস্ত সেখানে হাইপ্রেসে সুইচ করে শেষে মিডফিল্ডারদের অ্যাটাকারদের এগেইন্সটে ডিফেন্ড করা লাগতো। যার জন্য সেই রিস্ক নেয়নাই ইনজাঘি। আবার বার্সার হাইলাইনের কারণে বেশ কয়েকবার কনফিউশানে পরে ডায়গনাল বল, লং বল চালায়নি ইন্টার। আর বার্সার ম্যান টু ম্যান প্রেসিং এর কারণে ইন্টার বল লুজ করে এবং বার্সা পজেশন রিগেইন করে। বার্সা দুইগোলে ডাউন থাকার পর লামিনের সাইডে সাপোর্ট আসে কুন্দের থেকে, কুন্দের ওভারল্যাপ মুভকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে লামিনকে স্পেস দিয়ে ফেলে ডিমার্কো এবং লামিনের মাস্টারক্লাসে গোল। এরপরই ইন্টারের ফরোয়ার্ড লাইন আরো ডিপে নেমে এসে আমাদের সিবি রেখে ডবল পিভটকে মার্ক করে তখন ইন্টারের মিডফিল্ড এনাফ ফ্রীডম পায় মার্ক করার জন্য।

আরও পড়ুনঃ জুনে সিংগাপুরের সাথে সামিত সোমেকে খেলাতে ফিফা ক্লিয়ারেন্সের শেষ সময় কবে?

ফ্লিকের ইনিশিয়াল মুভ ছিলো পেদ্রীকে হাই অফ দ্য পিচে রাখা যাতে করে ইন্টারের ডেডলক ব্রেক করা যায় বাট এটা ফেইল হয় এবং পেদ্রী মিডফিল্ডে নেমে এসে লং বল দিয়ে ফেরানের জন্য স্পেস ক্রিয়েট করে দেয় যেই কাজটা রাফা অ্যাসিস্ট দিয়ে কমপ্লিট করে। পেদ্রী-ফ্র্যাঙ্কী ডুয়ো পুরো মিডফিল্ড কন্ট্রোল করে, কিছু সময় লেফটে একটু ওভারলোড করে লামিনের জন্য স্পেস ক্রিয়েট করতে দেখা যায় আমাদের ডবল পিভটকে। সেকেন্ড হাফে ফিজিক্যালিটি, হাইটে মার খেয়ে ফ্লিক আরাউহোকে সাব করে ইনিগোকে লেফটব্যাকে সুইচ করায়। আর আমি আগেও বলেছিলাম যে আরাউহোর ফিজিক্যালিটি, পেইস, রিকোভারি বার্সার জন্য দরকার ছিলো এবং আরাউহো তাই করে দেখালো। সেকেন্ড হাফে ইনজাঘি তার সিবিদের উপরে পুশ করায় এবং কিছু চান্সও ক্রিয়েট হয় যেগুলা সেজনীর সুইপিং, কুবারসির ইন্টারসেপশন, আরাউহোর ক্লিয়ারেন্স এবং অফসাইড ট্র্যাপের কারণে কেটে যায়। বাট এরপরই সেজনীকে অফলাইনে কট, অলমোর দিয়ে ডামফ্রিসকে মার্কআপ করানো এবং ডামফ্রিসের অসাধারণ হেডার৷ সেকেন্ড হাফে বার্সার একটা ক্রুশাল চেঞ্জ ছিলো সেটা ছিলো লং শট নেয়া৷ ইন্টারের লো ব্লকে টাইট স্পেসে মিডফিল্ড/উইং থেকে বল প্রগ্রেস করা ইজি না যার কারণে হয়তো আরো আগে থেকে শট নেয়া শুরু করা উচিত ছিলো বার্সার সেখানে পেদ্রী, লামিন, ফারমিন শট নেয় এবং রাফা দূর্দান্ত দুইটা শট নেয় যার একটা গোলও হয়।

লেওয়ার অ্যাবসেন্সে তার অফ দ্য বল মুভমেন্টের অভাব বার্সা টের পায়। লেওয়া থাকলে তাকে অন্তত দুজন দিয়ে মার্কআপ করাতো তখন সুযোগ মতো লেওয়া ওর মার্কারে লেফট/রাইটে ড্র্যাগ করালে অলমো একটু ফ্রীডম পেতো। লেওয়ার এই কাজটা ফেরান একটু দেরিতে করে একটা চান্সও ক্রিয়েট হয় বাট ভেস্তে যায়। ফ্লিকের শেষের দিকে গাভি-ফারমিনকে সাব করানোতে আমাদের কাউন্টারে ভালনারিবিলিটি কমে যায় এবং অ্যাটাকিং সুপিরিয়রিটি আসে বাট বার্সা ডেলিভার করতে ব্যর্থ হয়। পাশাপাশি লাউতারো না থাকায় খুব ওদের সিএফ এর কানেক্টিভিটির অভাব ছিলো যার কারণে মিডফিল্ডে বারবার স্পেস পাচ্ছিলো পেদ্রী এবং কিছু লাইন ব্রেকিং পাসও আসে ফ্র্যাঙ্কীর কাছ থেকে। এই ছিলো ফার্স্ট লেগের টুকিটাকি। এখন কথা হলো সেকেন্ড লেগ নিয়ে!

সেকেন্ড লেগের বার্সার দুইটা ডিসএডভান্টেজ হচ্ছে কুন্দে থাকবেনা আবার বালদেও থাকবে। এক্ষেত্রে ফুলব্যাক পজিশনটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে। আরাউহোকে এক্ষেত্রে রাইটব্যাকে প্রেফার করবো, কারন ফার্স্ট লেগে যেসব মিস্টেক ছিলো বলতে গেলে ফিজিক্যাল ডিসএডভান্টেজ, এরিয়েল ডুয়েল লুজ+সেটপিসে হাল ছেড়ে দেয়া। বাট তাও সেটপিসে একটা ইফস এন্ড বাটস থেকেই যাবে। একটা স্ট্যাটসে আসছে যে বার্সার এগেইনস্টে সেটপিসে অপনেন্ট অলমোস্ট ৭০% লেওয়ার কারণে অফ গার্ড হয়ে পড়ে। সেখানে লেওয়া থাকলে ফায়দা হতো বাট ট্রায় করতে হবে যত কম সেটপিস কনসিড করা যায় এবং কনসিড করলেও মার্কআপ করে যেনো অফ গার্ড করা যায়। ইন্টারের একেকটা প্লেয়ার যেরকম ফিজিক্যাল বিস্ট খুব সহজ হবেনা যার কারনে ইন্টার খুব ইজিলি দুইটা কর্ণার থেকে দুটো গোল আদায় করে। আর গার্সিয়া রাইটব্যাকে থাকলে কিছুটা বল প্রগ্রেস করা যাবে বাট  পুরোপুরি ভরসা করা যাবেনা কারণ সেকেন্ড হাফে গার্সিয়া খুব একটা সাপোর্ট দিতে পারেনাই যেটা কুন্দে অফার করে। যার জন্য রাইট সাইড লামিনকেই ক্যারি করা লাগবে। সিবি ডুয়ো হিসেবে চাইবো ক্রিস-কুবারসি। ক্রিসকেও দরকার তার হাইট এডভান্টেজ+গুড এনাফ বল প্লেয়িং অ্যাবিলিটির জন্য। লেফটব্যাকে চলে আসবে ইনিগো কারণ এই ক্রুশাল পজিশনে বালদে না থাকায় ডিফেন্সিভ-অফেন্সিভ দুটোই ল্যাক করে বার্সা। সেক্ষেত্রে ইনিগো থাকলে ডিফেন্সিভ সলিডিটিও থাকবে এবং মার্টিনের থেকে বেটার বল প্রগ্রেস, পাসিং দেখতে পারবো।

বালদের এডভান্টেজ নিয়ে আর বলার বাকি থাকেনা। বার্সার মিডফিল্ডে বল প্রগ্রেসের কারণে ইন্টারের হাফে দুই ফ্ল্যাঙ্কে স্পেস ক্রিয়েট হবেই সেখানে লামিন থাকলে কী হতে পারে তা তো আমরা দেখলাম আর বালদে থাকলে লামিনের উপর প্রেশার একটু কম এবং ম্যান মার্কিং এ প্যারা কম খাবে। আর বালদের ড্রিবলিং, কাট ইন, প্রগ্রেসিভ ক্যারিগুলা ক্রুশাল এই টাইট স্পেসে। আর বালদে থাকলে বক্সে তিনটা পজিশনে রাফা, ফেরান, অলমোকে পাবে। ই। ইভেন মিডফিল্ডে বল প্রগ্রেস করিয়ে বক্সের বাহির থেকে শট নেয়ানো যেতে পারে। বালদে থাকলে ডামফ্রিস ফ্রীডম নিয়ে এতটা এডভান্টেজ পাবেনা যেমনটা রাইটে ডিমার্কো পায়নি। যার কারণে ইনজাঘির কনফিউশানের কারণ ডিমার্কো নাকি অগাস্তো কে স্টার্টিং এ থাকবে। কারন ডিমার্কো এই সীজনে সবচেয়ে বাজে ডিফেন্সিভ ওয়ার্ক করতেছে সেখানে অগাস্তো আবার সলিড ডিফেন্সিভলি। আবার ডিমার্কোর মতো অ্যাটাকিং থ্রেট অগাস্তো দিতে পারবেনা সেক্ষেত্রে আমার মনেহয় একটু ডিফেন্সিভ অ্যাপ্রোচে অগাস্তোকেই স্টার্ট করাতে পারে ইনজাঘি। লাউতারোকেও হয়তো দেখা যেতে পারে তার কুইক রিকোভারির জন্য যেটা ইন্টারের এডভান্টেজ।

ইন্টার ট্রায় করবে বার্সার হাইলাইনে স্পেস এক্সপ্লয়েট করার, কুইক পাসিং খেলে যেটা তারা করে থাকে। ইন্টার যদি বাই চান্স আবারও লিডে এগিয়ে যায় তাহলে আবারও তারা সেটব্যাক ফরমুলায় এগোবে, কিন্তু যদি বার্সা লিড নিতে পারে শুরুতে তাহলে বার্সার জন্য আরো হেল্পফুল হবে। কারণ ইন্টার লিড বাড়ানোর জন্য প্রেস করবে এবং ইন্টার যখন প্রেস করে তাদের নিজেদের হাফে বা মিডফিল্ডে বেশ স্পেস ক্রিয়েট হয় সেই স্পেস বার্সা কাউন্টার অ্যাটাক করে এক্সপ্লয়েট করে আরো গোলের লিড বাড়াতে পারবে। বালদের অ্যাবসেন্সকে আবারও ইন্টার টার্গেট করে খেলবে। এক্ষেত্রে বার্সার ব্যাকলাইনেরও একটা বড় রোল প্লে করতে হবে। ছোটখাটো ভুল, মার্কিং ভুল করা যাবেনা এবং ম্যাচ শুরু হওয়ার সময়ে একটু নার্ভ ধরে স্টার্ট করতে হবে যেন আর্লি লিড দিয়ে না বসে।

বালদে-কুন্দে ছাড়া বার্সার জন্য বেশ ডিফিকাল্ট হতে পারে সেকেন্ড লেগটা। রাফা-লামিনের উপর দায়িত্ব একটু বেশি ই পড়বে। লেওয়া হোপফুলি বেঞ্চ থেকে নামবে। জাস্ট মেক শিউর করতে হবে ফ্লিকের যেন বক্সের আশেপাশে থেকে এনাফ পরিমাণ শট নেয়া হয়। সোমার এর হাইট এর এডভান্টেজ যেন নেয়া যায়। লামিনের দুটো শট ক্রসবারে না লাগলে হয়তো সান সিরোতে গিয়ে ফাইনাল খেলা লাগতোনা৷ ডিফেন্সিভ,সেটপিস হোমওয়ার্ক ঠিকমতো করতে পারলে বার্সা ম্যাচ বের করতে পারবে, আমি আশাবাদী।

 

লেখক: আশফাক আহমেদ সানিম

সংগৃহীত: ফুটবল ফ্রিক বাংলাদেশ

, , ,


Share Your Thoughts

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

আরও পড়ুন এই ক্যাটেগরিতে