বার্সেলোনা-ইন্টার মিলানের ৬ গোলের ম্যাচ থ্রিলার মুভিকেও হার মানাবে। প্রথম ২০ মিনিটে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফেরত এসেছে বার্সা। কামব্যাক কিভাবে করতে হয়,সেটা যেন বার্সা শিখাল।
বার্সেলোনা বনাম ইন্টার মিলান | ছবি: গেটি ইমেজ
৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ ড্র ৩-৩ এ। স্কোরলাইন দেখে বার্সা ভক্তরা খুশি না হলেও যখন জানবেন আপনার দল ২০ মিনিটের মধ্যে ২-০ তে পিছিয়ে থেকে ৩-৩ এ ড্র করে শেষ লেগের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে, তখন অবশ্য আফসোসের মাত্রা টা অতবেশি থাকবেনা আপনার।
ম্যাচের ফার্স্ট মিনিটেই থুরামের গোলে এগিয়ে যাওয়া ইন্টার, ২১ মিনিটে করে দ্বিতীয় গোল। লামিন ইয়ামাল, পেদ্রীদের অসাধারণ দক্ষতায় ফার্স্ট হাফেই ম্যাচে ফেরে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুনঃ Psg vs Arsenal: লন্ডন থেকে জয় নিয়ে ফিরল পিএসজি
ডামফ্রিজ আজকে বিগ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরেছেন সঠিক ভাবে। প্রথম গোলে এসিস্ট করেন। ২য় এবং ৩য় গোল করেন ইন্টারের জার্সি গায়ে। কিছু দিন ইঞ্জুরিতে ছিলেন তবে ইঞ্জুরি থেকে ফিরে এসে নিজের ধারাবাহিক ফর্মে ফিরতে বেশি সময় নেন নি।
ডেনজেল ডামফ্রিস বিশ্বের অন্যতম সেরা উইংব্যাক। রাইট উইং দিয়ে সে ইন্টারের অন্যতম বড় থ্রেট। আজ গোল আর এসিস্টের পাশাপাশি সে বার্সেলোনার লেফট সাইড ডিফেন্সকে নাকানিচুবানি খাইয়ে ক্রস ইন করেছে, চমৎকার এক চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স।
চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনালে জোড়া গোল, যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য স্বপ্ন। ডামফ্রিস আজ নিজের স্বপ্নকে সত্যি করে তুললেন। দ্বিতীয় লেগ বাকি, ইন্টারকে নিয়ে সেরা হওয়া বাকি। সামনে আরো বড় লড়াই অপেক্ষা করছে।
পুরো ম্যাচ জুড়ে লামিন ঝলকানি দেখিয়ে গিয়েছে রাইট উইং দিয়ে। খাবি খাইয়ে ছেড়েছিলো ডিমার্কোকে। ১৭ বছরের এই ছোকড়ার সাথে ঠিকঠাক না পেরে ওঠাতে সেকেন্ড হাফে ইতালির অন্যতম সেরা এই ফুলব্যাককে সাব করতে বাধ্য হন ইনজাঘি। লামিন ইয়ামাল মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১০০টি ম্যাচ খেলে ফেললো।
২-২ এ সমতা থাকা ম্যাচ ৬৪ মিনিটে ৩-২ করে ডামফ্রিস। পরে রাফিনহার দুর্দান্ত শট সমারের গায়ে লেগে জালে জড়ালে ৩-৩ এ সমতায় ফেরে বার্সা।
মিডফিল্ড থেকে টেম্পো কন্ট্রোল, প্রেস রেজিস্ট্যান্স কিংবা পজিশনাল প্লে তে পেদ্রী-ফ্রেংকির চেয়ে বেটার ডুয়ো ওয়ার্ল্ডে আর নেই। ম্যাচের শেষে ফলাফল দেখে হয়তো আপনি অন্য অনেক কিছুই ভাবতে পারেন। তবে ড্র ম্যাচে বার্সার পাওনা হয়তো এগুলোই।
এরকম কাউন্টার এট্যাক নির্ভর দলের বিপক্ষে ফিজিক্যাল প্রেজেন্স কম হওয়াই পরে মাঠে নামে আরাউহো, ক্রিস্টেনসেন রা। যদিও হ্যান্সি ফ্লিকের এইটা আগেই করা উচিৎ ছিলো। সবকিছু তোলা থাকলো সান সিরোর নব্বই মিনিটে।
ম্যাচ নিয়ে যেকোনোকিছু জানাতে পারেন কমেন্টে।