চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজিকে হারিয়ে বায়ার্ন জয়ের ধারা বহাল রাখল। পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সে ২-১ ব্যবধানে হারায় বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথমার্ধে লুইস দিয়াজের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বিরতির আগে হাকিমিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে যার কারনে ১০জনের দলে পরিণত হয় বায়ার্ন। সেখান থেকে একজন কম নিয়েই ম্যাচ জয়লাভ করে বায়ার্ন।

জোড়া গোল করার পর লাল কার্ড দেখেন লুইজ দিয়াজ (মাঝে) | গেটি ইমেজ
চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। ডিফেন্সের বড় ভুলের সুযোগ নিয়ে পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন কলম্বিয়ান উইঙ্গার লুইস দিয়াজ। ৩২ মিনিটে আবারও ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি—মারকিনিওসের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে দূরপাল্লার দৌড়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। বিরতির ঠিক আগে নাটকীয় মুহূর্ত—আশরাফ হাকিমিকে ফাউল করার পর প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর চেকের পর সিদ্ধান্ত বদলে দেয় মাঠের রেফারি মউরিসিও মারিয়ানি, লাল কার্ড হাতে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দিয়াজকে।
বিরতিতে এক গোল পিছিয়ে এবং একজন কম নিয়ে নামা বায়ার্নের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে পিএসজি। ৭৪তম মিনিটে হোয়াও নেভেস দুর্দান্ত এক হাফ ভলি শটে ব্যবধান কমান। তবে এরপর আর সমতা ফেরাতে পারেনি স্বাগতিকরা। গোলবারে ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক ম্যানুয়েল নয়্যার—একাধিক সেভে রক্ষা করেন দলকে। প্রথমার্ধে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় দেম্বেলের গোল, আর কিছুক্ষণ পরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। রক্ষণভাগে কিম মিন-জে ও উপামেকানো ছিলেন অত্যন্ত শৃঙ্খলিত ও স্থির।
এই জয়ে চার ম্যাচ শেষে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে পিএসজি। ম্যাচ শেষে বায়ার্ন কোচ ভিন্সেন্ট কোম্পানি জানান, “আমরা খুব সংগঠিত ছিলাম এবং কঠিন অবস্থায়ও দল ফল ধরে রেখেছে।” পিএসজি বস লুইস এনরিক হতাশ কণ্ঠে বলেন, “অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। এমন লেভেলের ম্যাচে ভুল করলে শাস্তি পেতেই হয়। আশা করি আগামী ম্যাচগুলোয় এমন ভুল আর হবে না।