নাজমুল হোসেন শান্ত সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে তার। অবশেষে তিনি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শান্তর নেতৃত্বে চরম বিপর্যয় নাকি সাফল্যের গল্প? । ছবিঃ সংগৃহীত
ইএসপিএন ক্রিকইনফো প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে যে, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,”শান্ত ফাইনালি বলে দিয়েছে সে আর টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না। আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি–টোয়েন্টি খেলা নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে।”
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্ত। তার অধীনে বাংলাদেশ দল ৩৪টি ম্যাচ খেলে ১৪টিতে জয় পায়।
বিশেষত, ২০২৪ সালে ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে শান্ত মাত্র একটি সিরিজে জয় পান, যা ছিল ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে শক্তিমত্তায় দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও সিরিজ হারতে হয় তার অধিনায়কত্বে।
তবে শান্তর অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একটি বড় অর্জন করে। প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের সুপার এইটে জায়গা করে নেয় দল। যদিও ব্যাট হাতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক—২০ ইনিংসে ১০২.৫৭ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৩৫৮ রান করেন এবং মাত্র একটি ফিফটি ছিল তার নামের পাশে।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের বিপক্ষে শান্ত শেষবার টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দেন। এরপর কুঁচকির চোটে পড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলতে পারেননি। তখন লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে, যা দলের জন্য ঐতিহাসিক সাফল্য বয়ে আনে।
টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত শান্তর জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে তার নেতৃত্ব কেমন ফলাফল বয়ে আনে।