উত্থান-পতনের এ মৌসুমে আরেকটি হতাশার দিন কাটল রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে ২-১ গোলে হেরে শীর্ষে ফেরার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো আনচেলত্তির শিষ্যদের। এই পরাজয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ হারিয়ে ফেলে তারা।
বেলিংহামরা আরও একবার হোঁচট খেল লালিগাতে | ছবি: ফেসবুক
বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয় পেলেই রিয়াল এক ম্যাচ হাতে রেখে বার্সেলোনার চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকত। তখন হাতে থাকা অতিরিক্ত ম্যাচে জিতলেই তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে যেত। তবে এদিন বিলবাওয়ের মাঠে তাদের হার মানতেই হলো। এখন ১৫ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৩৩, আর বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৭। ফলে লিগ শীর্ষে থেকে নতুন বছরের অপেক্ষায় থাকবে বার্সা।
ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল রিয়ালের হাতে, কিন্তু আক্রমণ তৈরি করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে তারা। প্রথমার্ধে লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি রিয়াল। যদিও অ্যাথলেটিক বিলবাওও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি, তবে তাদের আক্রমণ ছিল ধারালো। বিরতির পর দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
অবশেষে ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে ৬৫ মিনিটে। বিলবাওয়ের আলেসান্দ্রো রেমিরো দুর্দান্ত এক আক্রমণে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ আসে রিয়ালের কাছে, যখন তারা পেনাল্টি পায়। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি মিস করে দলের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনেন।
৭৮ মিনিটে রিয়ালের হয়ে জুড বেলিংহাম গোল করে দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মিনিট পর বিলবাওয়ের গোরকা গুরুজেটা একটি অসাধারণ গোল করে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয়। এরপর রিয়াল ম্যাচে ফিরতে আর কোনো সুযোগই পায়নি।
রিয়ালের আক্রমণভাগ এদিন ভিনিসিয়ুসের অভাব অনুভব করেছে। ইনজুরির কারণে তার না থাকা দলের উপর বড় প্রভাব ফেলেছে। রদ্রিগো, বেলিংহাম ও এমবাপ্পে চেষ্টা করলেও দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। বিশেষ করে এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস ছিল ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট।
এ পরাজয় শুধু পয়েন্ট টেবিলেই নয়, রিয়ালের আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলতে পারে। টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর এই সুযোগ হাতছাড়া করায় মৌসুমে তাদের কাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এভাবে বিলবাওয়ের মাঠ থেকে খালি হাতে ফিরতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে, যা তাদের শিরোপা দৌড়ে বড় ধাক্কা হয়ে থাকবে।