লা লীগায় ২৬ তারিখ রাত ১টায় এথলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়েছিলো সেল্টা ভিগো।এথলেটিকো মাদ্রিদ ও চেলটা ভিগো মোট ২৭ বার মুখোমুখি হয়েছে যার মধ্যে এথলেটিকো জিতেছে ১৮ এবং চেলটা ভিগো জিতেছে ৪ বার বাকি ৫ ম্যাচ হয়েছে ড্র।
এথলেটিকোর বিরুদ্ধে চমৎকার লড়াই করেছে চেলটা ভিগো। কিন্তু পুরো ম্যাচে এথলেটিকো মাদ্রিদকে আটকিয়ে রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলো না তাদের।আর্জেনটাইন তারকার শেষ মুহুর্তের গোলে ১-০ তে পরাজিত হলো সেল্টা ভিগো।
ম্যাচের শুরু থেকেই চলছিল দুই দলেরই একের পর এক ফাউল।পোসেশন,পাস,শটে সেল্টা ভিগো এগিয়ে থাকলেও ম্যাচটি নিজেদের করে নিতে পারে নি তারা।প্রথম হাফে সেল্টা ভিগো মোট ৩৪৩ টা পাস খেলেছে যার মধ্যে ২৯৯ টি ছিল সঠিক পাস। সেল্টা ভিগোর শট অন টার্গেট ছিল মাত্র ২টি।
অপরদিকে এথলেটিকো মাদ্রিদ প্রথম হাফে মোট ২৩১ টি পাস খেলেছে যার মধ্যে ১৮৬ ছিল সঠিক।কোনো শট নিতে পারেন নি তারা প্রথম হাফে।দ্বিতীয় হাফের শুরু থেকেই চলছিল হাড্ডহাড্ডি লড়াই তবে এথলেটিকো মাদ্রিদ প্রথম হাফের মতোই পিছিয়ে থাকলেও শট অন টার্গেট এবং শুটে এগিয়ে ছিলো এথলেটিকো মাদ্রিদ।
হাফ টাইমের পরে ৫৪ মিনিটে কোক কে বদলি করে জুলিয়ান আলভারেজ মাঠে আহবানে করে ডিয়েগো সিমোনি।৫৬ মিনিটে চমৎকার হেডে খুব কাছ থেকে গোলের চেস্টা করে বোর্জা লাগ্লেসিয়াস কিন্তু অবলাক দুর্দান্ত সেভ দিয়ে বল কে ফিরিয়ে দেয়।৬২ মিনিটে গ্রিজম্যান জুলিয়ান আলভারেজকে গোল করার সুযোগ করে দিলেও সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি আলভারেজ।
৬৪ মিনিটে রদ্রিগো রিকুয়েলম এর পরিবর্তে গিউলিয়ানো সিমোনি এবং এলেক্সজান্ডার সরলথ এর পরিবর্তে রড্রিগো ডি পাল কে সাবটিটিউট করিয়ে মাঠে নামানো হয়।৭০ মিনিটে উইলিওট সুইডবার্গ এর পরিবর্তে আলফন গোঞ্জালেজ মাঠে নামানো হয়।৭৬ মিনিটে বোর্জা লাগ্লেসিয়াস এর পরিবর্তে এবারে ডোউভিকাস মাঠে প্রবেশ করে।
৮৪ মিনিটে ডামিয়ান রড্রিগেজকে হুগো সোতেলোর সাথে পরিবর্তন করা হ্য এবং নাহুয়েল মলিনার পরিবর্তে এঞ্জেল কোরিয়া কে সাবটিটিউট করানো হয়।৯০ মিনিটে গ্রিজম্যানের এসিস্টে দুর্দান্ত ফিনিশিং করে গোল করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেনটিনার তারকা জুলিয়ান আলভারেজ গোল করে।দ্বিতীয় হাফে সেল্টা ভিগো মোট ৩২৬ টি পাস খেলেছে যার মধ্যে ২৮৯ টি ছিলো সঠিক পাস।
মোট শট করেছিল ৬ টি যার মধ্যে শট অন টার্গেট ছিল ২ টি।এথলেটিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক জান অবলাক গত ম্যাচে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।চেলটা ভিগোর ৪টি চমৎকার শট আটকে দিয়েছে অবলাক।এথলেটিকো মাদ্রিদ দ্বিতীয় হাফে মোট ২৩৮ টি পাস খেলেছে যার মধ্যে ১৮৮ টি পাস সঠিক খেলেছিল।
সাথে তারা ৮ টি শট করেছিল যার মধ্যে ২টা শট অন টার্গেট ছিল।ডিয়াগো সিমোনি তার দলকে খুবই সুন্দরভাবে পরিচালনা করে ম্যাচটি নিজেদের দখলে নিয়ে নেন।শেষ মুহুর্তে গ্রিজম্যানের এসিস্টে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায় জুলিয়ান আলভারেজ।অবশেষে ১-০ গোলে জয়ী হয় এথলেটিকো মাদ্রিদ।