গতকাল রাত ৯.০০ ঘটিকায় প্রিমিয়ার লীগের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো আর্সেনাল বনাম লেইচেস্টার সিটি।শুরু থেকেই ম্যাচ জয়ের একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে দুটো দলই।মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় টিম্বার এর দুর্দান্ত পাসে বল লেইচেস্টার সিটির জালের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে গোল করে মার্টিনেলি।
৩৮ মিনিটে কাই হাভার্টজ থ্রর্সাডের ক্রসে হেড দিয়ে গোলের সুযোগ পেলেও বলটি বারের পাশ দিয়ে আউটের দিকে চলে যায়। এবারে ৪৫+১ মিনিটে মার্টিনেলির এসিস্টে চমৎকার গোল করে থ্রর্সাড।প্রথম হাফে আর্সেনাল তাদের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
লেইচেস্টার সিটি থেকে সব দিক দিয়ে আর্সেনাল ছিলো এগিয়ে।প্রথম ৪৫ মিনিটে আর্সেনাল মোট ৩৮০ টা পাস খেলেছে যার মধ্যে ৩৪৮ টি সঠিক পাস।তার সাথে মোট ১৩ টি শুট করেছিল যার মধ্যে ৫টি ছিল শট অন টার্গেট।তারা ৩টি বিগ চান্স পেয়ে ১টি চান্স মিস করেছিল।অপরদিকে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা লেইচেস্টার সিটি প্রথম হাফে মোট ১২৪ টা পাস খেলেছে যার মধ্যে ৯৫ ছিল সঠিক পাস।
একটি মাত্র শুট করতে পেরেছে কিন্তু সেটিও শট অন টার্গেট ছিল না।দ্বিতীয় হাফের শুরু হতে না হতেই ৪৭ মিনিটে লেইচেস্টার সিটির পাল্টা জবাব দেয় জেমস জাস্টিন।বুয়োনানওত্তের পাসে দুর্দান্ত হেড দিয়ে আর্সেনালের গোলরক্ষক রায়াকে ফাঁকি দিয়ে গোল করে জাস্টিন।
৫৩ মিনিটে কর্ণার থেকের সাকার শুট দুর্দান্ত সেভ করে লেইচেস্টার গোলরক্ষক হেমারসন। ৫৪ মিনিটে কাই হ্যাবেটজ ডি-বক্সের বাহির থেকে শুট করে কিন্তু বল বারের উপর দিয়ে চলে যায়।৫৮ মিনিটে সাকার পাসে গোলের চেষ্টা করেছিল থ্রমসাড কিন্তু ভাগ্যক্রমে বলটি বারে লেগে আউটের দিকে চলে যায়। ৬৩ মিনিটে নিডিডির ক্রসে চমৎকার ভলি দিয়ে গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন জেমস জাস্টিন।
৬৯ মিনিটে ৬ ইয়ার্ডে বল পেয়ে ভলি করে গোলের চেষ্টা হাভার্টজের কিন্তু হেমারসনের চমৎকার সেভ।৭৪ মিনিটে আবারো রাইসের পাসে ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে শুট করে থ্রর্সাড কিন্তু আবারো হেমারসনের চমৎকার সেভ। ৭৪ মিনিটে আর্সেনালের প্রথম সাব করালেন মাইকেল আর্টেতা।গেব্রিয়্যাল মার্টিনেলির পরিবর্তে মাঠে প্রবেশ করালেন রহিম স্টারলিং কে।
এবারে ৮৫ মিনিটে লেইচেস্টার সিটির প্রথম সাব করালেন দলের কোচ স্টিভ কোপার। বুয়োনানওত্তের পরিবর্তে জর্ডানকে প্রবেশ করানো হলো।তার সাথে থোমাস পার্টের পরিবর্তে মাঠে ইথান নোয়ানেরিকে নামানো হলো।৮৮ মিনিটে চান্স পেলেও হেমারসনের চমৎকার সেভের জন্য গোল হয়নি আর্সেনালের।এবারে একসাথে দুটো সাব লেইচেস্টার সিটির ৯০+১ অলিভার স্কিপের পরিবর্তে খাননউসকে এবং মাভিডিডির পরিবর্তে ববি রেইডকে মাঠে নামানো হয়।
এবারে ৯০+৪ মিনিটে সাকার কর্নারে বল পেয়ে শুট করে থ্রর্সাড কিন্তু বলটি নিডিডির পায়ে লেগে লেইচেস্টার সিটির জালের ভিতর প্রবেশ করে এবং ওউন গোল করে লেইচেস্টার সিটি।৯০+৮ মিনিটে নিডিডিকে বদলি করে তার জায়গায় ইডোওর্য়াডকে পাঠানো হয়।তার সাথে অকলির পরিবর্তে ফাটাওকে সাবটিটিউট করায় স্টিভ কোপার।৯০+৮ মিনিটেই এবার থ্রর্সাডের জাগয়া নিতে গেব্রিয়্যাল জেসুসকে পাঠানো হয়।
৯০+৯ মিনিটে শুট করে গেব্রিয়্যাল জেসুস কিন্তু বলটি সেভ দিয়ে অন্যদিকে পাঠিয়ে দেয় হেমারসন।তবে পরবর্তীতে আবার হাভার্টজ বলটি পেয়ে গোল করে ৪-২ ম্যাচের সমাপ্তি ঘটায়।পুরো ম্যাচে হেমারসন তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আর্সেনালের শট গুলোর বিপক্ষে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন।কিন্তু অবশেষে ৪-২ গোলে হারতে হলো লেইচেস্টার সিটিকে।