অফসাইড কি? | অফসাইড কিভাবে হয়?

অফসাইড কি? | অফসাইড কিভাবে হয়?

  • প্রকাশিত হয়েছে: সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫২৯ বার এই মুহূর্তে
  • শেয়ার করুন

অফসাইডের নিয়ম কি
                       

প্রতিপক্ষের জালে আপনার প্রিয় দল বল পাঠিয়েছে। আপনার দলের সাথে,আপনিও উদযাপন করছেন। কিন্তু সাইডলাইন থেকে রেফারি, খানিকক্ষণ পরেই জানালো গোল বাতিল!। কিন্তু কেন?। রেফারি তার হাতে থাকা ফ্লাগটি দ্বারা অফসাইডের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ফুটবল খেলায় এই অফসাইড কিভাবে হয়?। সেটাই আজকের প্রচ্ছদটিতে,সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবেন।

 

অফসাইডের নিয়ম কি?

অফসাইড মূলত প্রতিটি ফুটবল খেলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারন এই অফসাইড নিয়মের কারনে,প্রতিটি দল তাদের ন্যায় অধিকার বা বিচার পায়।

অফসাইড সবসময় সেন্টার লাইন থেকে প্রতিপক্ষের ভাগে বিবেচনা করা হয়, উভয় দলের জন্যই। সতীর্থ(একই দলের খেলোয়াড়) খেলোয়াড় যখন,তার অপর সতীর্থ খেলোয়াড়ের কাছে পাস দেওয়ার উদ্দেশ্য,বলে আঘাত বা লাথি মারে,তখন যার দিকে বল ছুড়ছে,তিনি যদি প্রতিপক্ষের কমপক্ষে শেষ ২জন খেলোয়াড় থেকে সমান্তরাল রেখার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ তাদের থেকে সামনে না চলে যায়। তাহলে সেখানে অফসাইড গন্য হবেনা। আবার যদি হাত বাহিরে থাকে,তাহলেও অফসাইডের ফাঁদে পড়বে না। সোজা কথা,যে অংশসমূহ দিয়ে গোল গ্রহণযোগ্য,যেমনঃ মাথা,বাহু ও পা ইত্যাদি। সেসব অংশ বাহিরে থাকলেই,কেবলমাত্র অফসাইড বিবেচিত হবে। অন্যথায় না।

অফসাইডের নিয়ম কি

অফসাইডের নিয়ম ভাল বুঝতে,ছবিতে লক্ষ্য করুন | ছবিঃ সংগৃহীত


উল্লেখযোগ্য যে, গোলকিক, কর্নার ও থ্রো-ইন এগুলো অফসাইডের আওতার বাইরে। ঐ সময় একজন খেলোয়াড় যে কোনও জায়গা থেকে বল সরাসরি গ্রহন করতে পারবেন। অফসাইড হিসেবে বিবেচিত হবে না।

তাছাড়া প্রতিপক্ষের ১০জন খেলোয়াড় যদি,সেন্টার লাইনের ওপাশে অন্য দলের ভাগে থাকে। তখন যদি সতীর্থ খেলোয়াড় পাস দেয়। তখন আর শেষ ২জন খেলোয়াড়ের বাধ্যকতা নেই। তিনি তখন অফসাইডের ফাঁদে পড়বেনা।

এর ছাড়াও সতীর্থ খেলোয়াড় থেকে সরাসরি পাস না আসে,তাহলেও সেটা অফসাইডের কবলে পড়বেনা। যেমনঃ প্রতিপক্ষের শুট থেকে সতীর্থ খেলোয়াড়ের শরীরে স্পর্শ লেগে,বল যদি আসে। অর্থাৎ তিনি ইচ্ছাকৃত বা সরাসরি না দেয়,তাহলেও অফসাইড হবেনা।

এই ছিল অফসাইড নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর। আশা করি আপনার ভাল লেগেছে। ভাল লাগলে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন, আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য।


Share Your Thoughts

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

আরও পড়ুন এই ক্যাটেগরিতে