এল ক্লাসিকো এটাই! মাঠে এবং মাঠের বাইরে চলে কথার লড়াই। খেলায় কেউ কাউকে এক বিন্দু ছাড়তে রাজি থাকেনা। দর্শকদের উত্তেজনার চাপ গিয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের উপর। সেখান থেকেই আবার মা/রা/মা/রি। হ্যা,এমনই এক রাত ছিল বার্নাবিউতে রোববার(গতকাল)।

বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে এল ক্লাসিকো জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি- সংগৃহীত
সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে ২০২৫/২৬ সিজনের প্রথম এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদ ম্যাচটি ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারায় সফরকারী বার্সেলোনাকে। মাদ্রিদের দুইটি গোল আসে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও জুড বেলিংহামের পা থেকে। আর বার্সার হয়ে একমাত্র গোল করে ফার্মিন লোপেজ।
রিয়াল মাদ্রিদ শুরুতেই এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়। ভিনিকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে লামিন ইয়ামাল, তৎক্ষনাৎ রেফারি পেনাল্টির জন্য বাঁশি বাজায়। পরে ভিএআর চ্যাকে পেনাল্টি বাতিল হয়। কিন্তু মাদ্রিদ শুরু থেকেই জেতার জন্য মরিয়া হয়েছিল।
১২তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১ম গোলটি করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে সেই গোলও বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের ফাঁদে। এই এক অফসাইড ফাঁদ যা রিয়াল মাদ্রিদকে গত মৌসুমের এল ক্লাসিকোতেও বেশ ভালভাবে ভুগিয়ে ছিল। মিনিট দশেক পরে রিয়াল মাদ্রিদ অফসাইডের ফাঁদ ভেদ করতে পারে। ২২তম মিনিটে বেলিংহামের অসাধারণ পাস থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোলের দেখা পায়। মাদ্রিদ পায় ১-০ গোলে লিড।
এই লিড মাদ্রিদ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। তার ঠিক ১৬’ মিনিটের মাথায় বার্সেলোনা সমতায় ফিরে। ৩৮তম মিনিটে মাদ্রিদের ভাগে বক্সের সামনে থেকে আর্দা গুলার থেকে হালকা খোঁচা মেরে বল কেড়ে নেয় পেদ্রি, সেইখান থেকে বালদে,তার থেকে রাশফোর্ড,আর রাশফোর্ড থেকে লোপেজ। লোপেজ গোল লাইন থেকে ১০ ইয়ারডস মাত্র দূরে ছিল। সেইখান থেকে চমৎকার ফিনিশিং লোপেজের।
আরও পড়ুন: নেইমার কি আর ফিরবেন ব্রাজিলের জার্সিতে? | বিশ্বকাপ ২০২৬-এ নেইমার থাকবে তো?
১-১ সমতায় আসার পর বার্সেলোনা আরও বেশি করে ছন্দে ফিরতে চায়। কিন্তু ৪৩তম মিনিটে বেলিংহামের গোলে মাদ্রিদ ২-১ গোলের লিড পেয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্থের শুরুর ৭ম মিনিটে বেলিংহাম পেনাল্টি জেতে। তবে সেখানে ৫২তম মিনিটে স্পটকিক নেওয়া এমবাপ্পে সেজনিকে অতিক্রম করতে পারেনি। তাছাড়া মাদ্রিদ এই ম্যাচে ৫বার অফসাইড ফাঁদে পরে।
নিয়মিত সময়ের সাথে যোগ হয় ৯ মিনিট এডিশনাল সময়। কিন্তু এই সময় হয় নানা কান্ড। আসলে এই ক্লাসিকোর মানেই এইটা। যেটা আমরা দেখতে পেতাম রোনালদো-মেসিরা থাকতে। ৯০+১০’ মিনিটে পেদ্রি শুয়ামেনিকে ফাউল করে,নিজের ক্যারিয়ার প্রথম ও এই ম্যাচে ডাবল হলুূদ কার্ড দেখাবার পর রেফারি লাল কার্ড দেখায়। ঠিক তখনই ক্যামেরা ডাগআউটের দিকে ঘুরালে এক বিশাল হাতাহাতির জটলা দেখা যায়। সেই ভিড়ে লাল কার্ড দেখেন মাদ্রিদ গোলকিপার লুনিনও।
খেলার শেষ বাঁশি বাজার পর আবারও শুরু হয় লড়াই। বার্সেলোনার অধিনায়ক ইনজুরিতে থাকা রাফিনহা ও মাঠে প্রবেশ করে। মাঠের বাইরে যাই হোক,মাদ্রিদ তাদের সেরা খেলাই খেলেছে এল ক্লাসিকোতে। যার ফলস্বরূপ ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে।