আজকের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের মাঝে বেশ উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। কারনটা বছরের প্রথম দক্ষিন আমেরিকা ক্লাসিকো ছিল আজ আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের। ম্যাচের আগে ব্রাজিল ও বার্সালোনার খেলোয়াড় রাফিনার বক্তব্যের কারনে বেশি আলো কাড়ে। তবে মাঠে দেখা মিলে পুরো উলটো,আর্জেন্টিনা এই ম্যাচ পুরো একপেশি বানিয়ে ফেলে।ব্রাজিলের জালে এক হালি গোল জড়িয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচ। সংগৃহীত
আজ বুধবার নিজেদের ঘরের মাঠ ইস্তাদিও মাস মনুমেন্তালে ব্রাজিলকে আর্জেন্টিনা পাত্তাই দেয়নি। এইদিন কোনোমতে ব্রাজিলকে রুখে দিতে পারলেই আসন্ন বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জায়গা নিশ্চিত হবে স্বাগতিকদের, এমনটাই ছিল সমীকরণ।সেখানে ব্রাজিলের জালে এক হালি গোল দিয়েছে আলবিসিলেস্তেরা। অবশ্য বলিভিয়া ও উরুগুয়ে ম্যাচ ড্র হওয়ায় মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার।
এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার দাপট অব্যাহত থাকে, যেখানে এনজো ফার্নান্দেজের গোলের পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছিল আরও বেশ কয়েকবার। মেসি না থাকলেও আর্জেন্টিনার তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের দখলে রাখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু পরিবর্তন করা হলেও আর্জেন্টিনার আক্রমণাত্মক খেলা চলতে থাকে।
দ্বিতীয় গোলটি আসে আলভারেজের একটি দূরপাল্লার শট থেকে, যা প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ঠেকাতে পারেননি। আর্জেন্টিনার প্রায় প্রতিটি আক্রমণই ছিল কঠিন, এবং তারা ম্যাচে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করেছে প্রতিপক্ষের প্রচেষ্টা।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে জয়ী হয়। ফার্নান্দেজের গোলের পর কুনহা ব্রাজিলকে সমতায় ফিরিয়ে আনলেও, আর্জেন্টিনা প্রথমার্ধে আলেক্স ম্যাক আলিস্টারের গোলের মাধ্যমে আবারো লিড নিয়ে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে সিমিওনের দারুণ শটে আর্জেন্টিনা ব্যবধান আরও বাড়ায়।
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার রোমেরোর ভুল পাস এবং কুনহার দুর্দান্ত শট শুরুর দিকে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও আর্জেন্টিনার আক্রমণাত্মক খেলা শেষ পর্যন্ত জয়ের দিকে এগিয়ে যায়। সিমিওনের গোলটি ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আরও কিছুটা শান্তি এনে দেয় আর্জেন্টিনার জন্য।