বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও জাগছে বিপিএল জ্বর। সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বেড়ে যাচ্ছে আলোচনা–বিশেষ করে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। কারণ এবার টুর্নামেন্টে দেখা যেতে পারে বড় একটি বদল। আলোচনার কেন্দ্রে এখন নতুন প্রশ্ন: বিপিএলে কি প্রথমবারের মতো আইপিএলের মতো খেলোয়াড় নিলাম ফিরছে?

বিপিএল ট্রফি। ছবি- সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিপিএলের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী ১১টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেই বৈঠকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পক্ষ থেকে নিলাম পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব জোরেশোরে উঠে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নিলাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনে আরও একটি বৈঠক আছে। সময় হাতে আছে, তাই ভালোভাবে বিচার–বিশ্লেষণ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
বিপিএলে আগে কখনও নিলাম হয়নি—অনেকেই ধারণা করেন। কিন্তু বিষয়টি পুরোপুরি নতুন নয়। টুর্নামেন্টের শুরুর দুই আসর, অর্থাৎ ২০১২ ও ২০১৩ সালে নিলামের মাধ্যমেই দল গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সাল থেকে চালু হয় প্লেয়ার্স ড্রাফট, যা এখন পর্যন্ত চলে আসছে।
নতুন আপডেটঃ বিপিএল ২০২৬ পাচঁ দল চূড়ান্ত ও শুরুর তারিখ প্রকাশ
তবে এবার আবারও নিলামের আলোচনায় উত্তেজিত ক্রিকেটভক্তরা। কারণ নিলাম মানেই আলাদা রোমাঞ্চ—তারকা ক্রিকেটারদের জন্য দলগুলোর লড়াই, উচ্চমূল্যের বিড, বাজেট ব্যালান্স, সব মিলিয়ে অন্যরকম একটা পরিবেশ। বিশ্লেষকদের মতে, নিলাম চালু হলে দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে, বড় নামদের নিয়ে কৌশলগত যুদ্ধ হবে, আর বিপিএলের মানও বাড়তে পারে আন্তর্জাতিকভাবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও চায়, বড় মাপের টুর্নামেন্টের মতো খেলোয়াড় বাছাইয়ের ধরণ হোক আধুনিক ও আকর্ষণীয়। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, খেলোয়াড়দের বাজার তৈরি হবে এবং টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাড়তে পারে।
এখন সবার চোখ বিসিবির দিকে—তারা শেষ পর্যন্ত নিলামের পথে হাঁটে কিনা। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত: বিপিএলকে আরও শক্তিশালী ও বিশ্বমানের এক লিগ হিসেবে গড়ে তুলতেই এই আলোচনাগুলো চলছে।
বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের আশা, এবার মাঠে শুধু খেলা নয়, দল গঠনেও দেখা মিলবে উচ্চমাত্রার রোমাঞ্চ ও কৌশলের লড়াই।