ওডিআই বিশ্বকাপ ভারত ২০২৩ এ সেমির আশা দূরে থাক,এখন জানি মান বাচানোই, বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য। টানা ৫ হারে দল এখন খাদের কিনারায়। আজ সুযোগ ছিল জয়ে ফিরবার। হয়তোবা সেমিতে খেলার আশা টিকে ছিল,যদি ভালো কিছু হতো এই ম্যাচে। তবে ভালোর বদলে মন্দই বরণ করলো বাংলার প্রতিনিধিরা। বিশ্বকাপের আগে যেই দলটা ছিল গোছানো,সেটাই এখন কেমন জানি অগোছালো। দর্শক মহল থেকেও মিলছে না কোনরূপ সাপোর্ট। উল্টো মিলছে দুয়োধ্বনি।
ওপার বাংলা অর্থাৎ ভারতের কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। টস ভাগ্য সহায় হয় নেদারল্যান্ডসের। নেদারল্যান্ডস টসে জিতে বাংলাদেশকে পাঠায় ফিল্ডিংয়ে। শুরুটা ভালো না হলেও,পরে বাংলাদেশ ফিল্ডারদের সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারার ফলে,নেদারল্যান্ডস ২২৯ রান বোর্ডে তুলে সব উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশ কমপক্ষে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০-১৮০ রানে আটকাতে পারত। সেটা ভঙ্গ হয়,মুস্তাফিজুরের বলে একই ব্যাটারকে দুবার জীবন দেওয়ার ফলে। তিনি অর্থাৎ ডাচদের অধিনায়ক এডওয়ার্ড পরে ৫০+ রান করেন। সেখানেই মূলত ম্যাচ থেকে কিছুটা ছিটকে যেতে শুরু করে। তাছাড়াও মাহেদি হাসানের ইনিংসের শেষ ওভারে ১৭ রান দেওয়ার ফলে,মোমেন্টাম পায় ডাচরা।
তারপরও বলতে হয়,২৩০ রান করা আহামরি কোন ব্যাপার না। অন্তত দেখে শুনে খেল্লে এই রান তারা করে লক্ষ্য ভেদ করা যেত। তবে বাংলাদেশ আবারও ব্যাটিংয়ে ফেইল মেরেছে। প্রতিবারের মতো,এবারও খুব তারাতারি যাওয়া আশার মিছিল শুরু হয়েছিল। লিটন দাস এক ম্যাচ খেলছেন ভালো তো, পরের ২ ম্যাচে আর রান নেই। নাজমুল হোসেন শান্ত তার বাজে ফর্ম বহন করছেন। তার শেষ পাঁচটি ম্যাচে মোট রান ২৪ রান। একজন টপ অর্ডার ব্যাটারের যদি এই দশা হয়,তাহলে তো পুরো দল ধুকবেই। সাকিব দ.আফ্রিকার ম্যাচের পরপরই গিয়েছিলেন দেশে,তবে ফলাফল আবারও ব্যার্থ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করেন,তবে তিনি প্রতিদিন সফল হবেন না। তারপরও ব্যাক্তিগত ২০ রান করে আউট হন। শেষে টেইলইন্ডারদের ব্যাটিংয়ে ১০০ রানের হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
ডাচ বোলারদের মধ্যে আজ অনন্য ছিলেন,পল ভেইন ম্যাকরেন। তিনি ৭ ওভার ২ বল করে ২৩ রানের খরচায় পকেটে পুরেছেন ৪ উইকেট। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।