আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়,বিপিএল ২০২৫ আসরে এখন পর্যন্ত জয় পায়নি এরকম দল কোনটি? উত্তর খুজতে আপনাকে বেশি ভাবতে হবেনা। অকপটেই আপনি বলে দিতে পারবেন ঢাকা ও সিলেট ফ্রাঞ্চাইজি। ঢাকা ৪এ৪ এবং সিলেট ৩এ৩। এমনকি নিজেদের ঘরের মাঠেও দর্শক-সমাগম নিয়েও জয়ের দেখা পায়নি। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতের খেলায় বরিশালের সাথে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানের হার দেখতে হয় আরিফুল হকের সিলেটের।
চা বাগানের দেশ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টোডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানান। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই খালি হাতে ফিরে যান রনি।
সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। ছবি- সংগৃহীত
এরপর রাহকিম কনওয়েল দারুন কিছু দৃষ্টিনন্দন শট খেলে ১৪ বলে ১৮ রান করেন। তবে ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেনি শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ধরা পড়ে। ২৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে সিলেট চাপে পড়ে গেলেও,সেই চাপ সামলে নেন জর্জ মানসের ও জাকির হাসান। তবে স্ট্রেটেজিক টাইম আউটের আগেই মানসের ২৮(১৩) রানে ফিরে গেলে সিলেট খেল হারিয়ে ফেলে। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেয় সিলেটের ব্যাটাররা,মাত্র ১৩ রান তুলতে আরো ৫ উইকেট হারায় তারা। সিলেটের ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ছিল।
জাকির হাসান ২৫(২৬),জাকের আলি ৪ বলে ১ এবং জনস ডাক মেরে ফেরেন। তবে শেষে অধিনায়ক আরিফুল হক ২৯ বলে ৩৬ রান করে ১২৫ রান সংগ্রহ করে স্কোরবোর্ডে সিলেট। সিলেটের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সাকিব ১(৫),রুয়েল মিয়া ১(১০),রিস টপলি ৫*(৫) ও আলামিন হোসাইন ০(১)। সিলেট ১.৪ ওভার হাতে রেখেই অলআউট হয়ে যায়।
বরিশালের পক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন জাহানদাদ খান ও রিশাদ হোসেন। দুজনই সমান ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া ফাহিম আশরাফ ২টি এবং শাহীন আফ্রিদি ও কাইল মায়ার্স ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন। যার কারনেই সিলেটের ব্যাটিং ধষে পড়ে।
১২৬ রানের তারা করতে এসে বরিশালকে কিছুটা অবাক করে দেয় সিলেটের বোলাররা। দলীয় ৬ রানের মাথায় ওপেনার নাজমুল শান্ত ৪(৩) এবং তামিম ইকবাল ০(১) ফেরায় খানিকটা চাপে পড়ে যায়। তবে সেই চাপ অনুভবই করেননি ৩ নম্বরে ব্যাট করতে আসা কাইল মায়ার্স ও চারে আসা তাওহিদ হৃদয়। ৩য় উইকেট জুটি এই দুই ব্যাটার ১১৬ রান পর্যন্ত নিয়ে যায়। তাওহিদ হৃদয় ব্যাক্তিগত অর্ধশত থেকে ২ এবং দলীয় জয়ের ৪ রান বাকি থাকতে ফিরেন সাজঘরে। তবে শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ১৯০.৩২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা কাইল মায়ার্স টিকে থাকেন। ৫ম নম্বরে ব্যাট হাতে নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই, ভাগ্যের সাথে ব্যাটের উপরি কানায় লেগে সীমানা ছাড়া করেন জাহানদাদ খান।
সিলেটের বোলারদের মধ্যে তানজিম সাকিব ২টি এবং রাহকিম কনওয়েল ১টি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১২৫/১০ (১৮.২ ওভার)
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১২৬/৩ (১০.৩ ওভার)
ফল: ফরচুন বরিশাল ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: জাহানদাদ খান