তামিমের বিশ্ব‌ রেকর্ড‌ ও ঝড়ো ফিফটিতে সিরিজি বাংলাদেশের
Ad Banner

তামিমের বিশ্ব‌ রেকর্ড‌ ও ঝড়ো ফিফটিতে সিরিজি বাংলাদেশের

  • প্রকাশিত হয়েছে: মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪৩ বার এই মুহূর্তে
তামিমের বিশ্ব‌ রেকর্ড‌ ও ঝড়ো ফিফটিতে সিরিজি বাংলাদেশের
ক্রিকইনফো
                       

এক ম্যাচে ৫টি ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব‌-রেকর্ড‌ করলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর আগে এমন কীর্তি‌ করেছিলেন মালদ্বীপের সেদিক সাহাক ও মালদ্বীপের ওয়েদাগে মালিন্দা। তারাও এক ম্যাচে নিয়েছিলেন সমান ৫টি ক্যাচ। ফিল্ডিংয়ে চমক দেখাবার পর, তামিমের ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও নিজেদের করে নেয়।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। শুরুটা আশাব্যঞ্জক দেখালেও তামিমের বিশ্ব রেকর্ডগড়া ক্যাচ, রিশাদ হোসেনের লেগস্পিনের জাদু আর মোস্তাফিজুর রহমানের নিখুঁত কাটারের ধাক্কায় দ্রুতই ছন্দ হারায় অতিথিরা। সব মিলিয়ে পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৭ রানে। ফলে সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ পেয়ে যায় তুলনামূলক সহজ এক টার্গেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবালের শান্ত অথচ দাপুটে ব্যাটিংই ছিল মূল ভরসা। তার ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি বিশাল ছক্কা আর ৪টি চার—যা তাকে এনে দেয় ক্যারিয়ারের ১১তম টি–টোয়েন্টি ফিফটি। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী সাইফ হাসান খেলেন ১৪ বলে ১৯ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস; ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

এক প্রান্ত ধরে রেখে এগিয়ে যেতে থাকেন তামিম। চার নম্বরে নেমে ইমন দেখান তার স্বাভাবিক আগ্রাসন—২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রান, যাতে ছিল ৩ ছক্কার ঝলক। লিটন দাস মাত্র ৭ রান করে আউট হলেও তামিম-ইমন জুটি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে ৫০ বলে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচটিকে আর কোনোভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে দেয়নি।


আরও পড়ুনঃ

২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: দেখুন পুরো সময়সূচি ও ভেন্যু


পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৮ রান, যা পরবর্তী ধাপের ভিত্তি গড়ে দেয়। ম্যাচ শেষে ৩৮ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়—এবং হার দিয়ে শুরু করা সিরিজ শেষ হয় টানা দুই জয়ে ২-১ ব্যবধানে লিটন দাসের দলের দখলে।

এর আগে আইরিশ ইনিংসে পল স্টার্লিং করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। টিম টেক্টরের ১৭ এবং জর্জ ডকরেলের ১৯ ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ৫ ওভারেই তারা তুলেছিল ৫০ রান, কিন্তু এরপরের ১৪.৫ ওভারে হারায় ৯টি উইকেট—মাত্র ৬৭ রান যোগ করে শেষ হয়ে যায় তাদের লড়াই।

, , , , , , , , ,

Share Your Thoughts

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

আরও পড়ুন এই ক্যাটেগরিতে