
নেইমারের স্বপ্ন ছিল—শৈশবের প্রিয় ক্লাবে ফিরবেন, নিয়মিত মাঠ কাঁপাবেন, গোল করবেন এবং দলকে জিতিয়ে নেবেন। রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের সেই গল্পটা ঠিকই লিখছেন তিনি, তবে ক্যারিয়ারজুড়ে ছায়া হয়ে থাকা চোট আবারও বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাইছিল। এমনকি এক সময় নেইমারের ভবিষ্যতও ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সব বাধা অতিক্রম করে তিনি যেন সত্যিকারের ‘সুপারম্যান’ হয়ে রক্ষা করেছেন সান্তোসকে।
আজ সকালে ব্রাজিলের সিরি ‘আ’ লিগে ক্রইজেইরোকে ৩–০ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। মৌসুমের শেষ ম্যাচে পাওয়া এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে—নেইমারের ক্লাবটি অবনমন অঞ্চলে পড়ছে না। ৩৮ ম্যাচ শেষে ১২ জয়, ১১ ড্র ও ১৫ হারে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা লিগে ১২ নম্বরে মৌসুম শেষ করেছে। অবনমিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা চার দলের মধ্যে শীর্ষে থাকা সিয়েরা স্পোর্টিংয়ের চেয়ে সান্তোস এগিয়ে আছে ৪ পয়েন্টে।
শেষ দুই ম্যাচে ৫ গোলের অবদান রাখা নেইমার আজ গোল বা অ্যাসিস্ট—কিছুই পাননি। কিন্তু তার মূল কাজটা তিনি আগেই সেরে ফেলেছেন। চোটগ্রস্ত হাঁটু নিয়েই আগের ম্যাচে করেছিলেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। ম্যাচ শেষে নেইমার জানান, এবার সময় এসেছে দীর্ঘদিনের বাঁ হাঁটুর সমস্যার অস্ত্রোপচার করানোর।
আরও পড়ুনঃ
২০২৬ বিশ্বকাপ: ম্যাচের সম্পূর্ণ তালিকা, সময়সূচী
২০২৬ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা,ব্রাজিল,জার্মানি,স্পেন—সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন কারা?
তিনি বলেন, “আমি এখানে এসেছি দলকে যতটা সম্ভব সাহায্য করতে। শেষ কয়েক সপ্তাহ ছিল খুব কঠিন। যারা আমার পাশে ছিল, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের সহযোগিতা না থাকলে এই চোট নিয়ে আমি মাঠে নামতেই পারতাম না। এখন বিশ্রাম প্রয়োজন, তারপরই হবে হাঁটুর সার্জারি।”
চোট ও সার্জারি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে নারাজ নেইমার। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চূড়ান্ত দলে থাকার ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী তিনি। যদিও নতুন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো তাকে স্কোয়াডে ডাকেননি। কোচ স্পষ্ট বলেছেন—যে খেলোয়াড় শতভাগ ফিট, কেবল তারাই জায়গা পাবেন ব্রাজিল দলে। বিশ্বকাপের বাকি মাত্র ছয় মাস। এর মধ্যে নেইমার কত দ্রুত ছন্দে ফিরতে পারেন, সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি।
এদিকে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’-এর শিরোপা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। সিয়েরাকে ১–০ গোলে হারিয়ে নবমবারের মতো লিগ জিতেছে ফ্লামেঙ্গো। এর আগে গত মাসেই তারা দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা কোপা লিবার্তাদোরেসের শিরোপাও নিজেদের করে নেয়।