ফুটবল বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট হচ্ছে উয়েফা ইউরো। ইউরো ২০২৪ আসর বসতে যাচ্ছে এবার জার্মানিতে। ৩ দিন বাদে স্বাগতিক জার্মানি ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে ইউরোর পর্দা উঠবে। ইউরো ২০২৪ সামনে রেখে ‘বিডিস্পোর্টসনাও’ এর চোখে সেরা ৫ জন স্ট্রাইকার কারা দেখে আসি।
৫. কাই হাভার্টজ
জার্মান এই ২৬ বছর বয়সী খেলোয়াড় ইতিমধ্যে ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো ট্রফি জিতে নিয়েছেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখনও কোনে মেজর ট্রফি জিতেনি। সেই আক্ষেপ ঘুচাতে চাইবেন ইউরো ২০২৪ এ।
গত দলবদল মৌসুমে চেলসি থেকে আর্সেনালে পারি জমান। শুরুটা ভাল না করলেও,আস্তে আস্তে আর্তেতার অধীনে লেভারকুজেনের ভয়ঙ্কর কাইকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে।
হুলিয়ান নাগেলসম্যান (জার্মান কোচ) তাকে ফলস নাইন খেলাচ্ছেন। তিনি হতে পারেন জার্মানির জন্য এক্স ফেক্টর।
৪. রবার্ট লেভানডফস্কি
৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার তার সোনালী অতীত বায়ার্নে কাটিয়ে পারি জমিয়েছেন স্পেনের জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনায়।
ইউরো কোয়ালিফাইয়ে লেভানডফস্কির অসামান্য অবদান ছিল। তিনিই পোলেন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভিদ গড়ে দিবেন।
ইউরো ২০২৪ পোলেন্ডের সমর্থকরা লেভানডফস্কির দিকে নজর রাখবেন।
৩. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
বয়সটা হয়েছে ৩৯। এখনও খেলে যাচ্ছেন ফুটবল। ফুটবলে জিতে নিয়েছেন সবকিছু। তবে রয়ে গেছে অধরা সোনালী ট্রফি। তিনি বলেন’রেকর্ডের পিছনে আমি ছুটি না,রেকর্ড আমার পিছনে ছুটে। ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও এসিস্টকারী খেলোয়াড় এই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গোলদাতাও এই রোনালদো। ৯০০ গোলের মাইলফলক ছুই ছুই।
আরও পড়ুন : জার্মানির হয়ে ১ মিনিটও খেলার সুযোগ পায়নি টার স্টেগেন
২০০৪ সালে ফাইনালে গিয়েও হেরেছিল রোনালদোর পর্তুগাল। তবে ২০১৬ সালে ইউরো নিজের দেশের হয়ে প্রথমবার জিতেন। এর আগে কখনও পর্তুগাল ইউরো জিতেনি।
ইউরোপের সেরা ডিফেন্ডারদের মুখোমুখি না হলেও,এই মৌসুমে আল নাসরের হয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল ও ১৩টি এসিস্ট করেন।
২. ওলী ওয়াটকিনস
অ্যাস্টন ভিলার হয়ে এই মৌসুমে ৪০ গোল করেন এই ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তাছাড়া তার ক্লাবকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ালিফাই করার জন্য সাহায্যে করেছে।
ইংলিশ এই খেলোয়ার ইউরো ২০২৪ এ হতে পারেন ব্যাপআপ। দলে কোনে ফরোয়ার্ড ইনজুরি হলে তাকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া বদলি খেলোয়াড় হিসেবেও তাকে বাজিয়ে দেখা যেতে পারে।
১. হ্যারি কেইন
২০২৩/২৪ মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে ট্রফিবিহীন মৌসুম কাটিয়েছেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। তবে ব্যাক্তিগত অর্জনের কোনো কমতি ছিলনা। তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বায়ার্ন মিউনিখ থেকে জিতেছেন গোল্ডেন বুট। তারপরও এই ৩৪ বছর বয়সী তার ক্যাবিনেটে রাখতে পারেনি একটিও মেজর ট্রফি। এবার কি তিনি পারবেন তার ট্রফির খরা শেষ করতে!
সকল প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি এই মৌসুমে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন। এছাড়াও বুন্দেসলিগায় ৩৬ গোল করেন।
আপনার পছন্দের ফরোয়ার্ড কে? আপনার সেরা ৫জন ফরোয়ার্ড কে হবেন এবারের ইউরোর জন্য? সেটা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।