যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপ শুরুর ৬ মাস আগেও ছিল বিশ্বকাপ খেলা, না খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা। তিনিই এখন সেই নির্বাচক ও অন্দর মহলের কিছু গুটিবাজ খেলোয়াড়দের,বরাবরের মতো মুখে নয়,ব্যাটে জবাব দিচ্ছেন। তাই তিনি সাইলেন্ট কিলার নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বিশ্বকাপে। তবে শুধুমাত্র প্রাপ্তি, আফগানিস্তানের সাথে জয়। তাছাড়া বাকি ৪ ম্যাচ দেখলে,আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে,এই বাংলাদেশকে তো আমি চিনিনা। যেই দলটা গত ২ বছর ক্রিকেট বিশ্বে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ঘরের মাঠে ভারতকে ও বিদেশের মাঠে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। সেই বাংলাদেশকে আজ অচেনা মনে হচ্ছে।
এই অবস্থা হবার মূল দায় বোর্ডের। যারা কিনা রীতিমতো দলের ভিতর অস্ত্র-পাচার চালিয়েছে। নাটক যা হয়েছিল,তা হয়তো পেশাগত অভিনেতারাও এতটা যত্ন সহকারে করতে পারেননা। যাইহোক, আসলে শেষমেশ ক্ষতিটা হলো দেশের,ক্ষতিটা হলো দলের।
পুরানো কোচ নতুন করে ফেরা চণ্ডিকা হাথুরু সিংহের অবদানটাও ভুলবার মতো নয়। তিনি এই বিশ্বমঞ্চে এসেও দলে চালিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক নেতিবাচক এক্সপেরিমেন্ট। যিনি কিনা নম্বর ৩ এ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার,তাকে নিয়েও করছে রীতিমতো ছেলেখেলা। তিনি পুরো দলকেই নাড়িয়ে চারিয়ে দেখছেন। এতে করে দল আরও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
আশা করা যায়,বাকি ৪টি ম্যাচে অন্তত ৩টি জয় ছিনিয়ে আনবে। এইটুকু বাংলাদেশ দল থেকে দর্শকরা আশা করতেই পারে।