মালোশিয়া রেকর্ড করার সুযোগ হাতছাড়া করলো। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে ৩১ তম দল প্রায় আজ হারিয়েই দিচ্ছিল টেস্ট খেলুড়ে দলকে (বাংলাদেশ)। তবে তা আর হয়ে উঠেনি। কান্নায় জর্জরিত হয়েছে মালোশিয়ান খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়- এশিয়ান গেমসে। ভয়ংকর বোলিং পিচে বাংলার ব্যাটারদের বেশ পরীক্ষার সমুক্ষীন হতে হয়। মালোশিয়া ২০ ওভারের খেলায় ১জন পেস বোলারও ব্যবহার করেনি। সেখান থেকে বাংলাদেশ ইনিংস শেষে ৫ উইকেট খুইয়ে ১১৬ রান বোর্ডে যোগ করতে পারে।
দলের অধিনায়ক সাইফ খেলেছেন ৫০ উর্ধ ইনিংস,থেকেছেন অপারাজিত। তাছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুবর ২টি ছক্কা ও ২টি চারের ১৪ বলে ২৩ রানের ক্যামিও দলের জন্য দারুণ ভূমিকা রাখে।
তবে এই ১১৬ রান টপকাতে পারেনি মালোশিয়ান ব্যাটাররা। ভিরানদীপ সিং চেস্টা চালিয়ে গেছেন। তবে তিনিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। তিনি মাত্র ৩৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাইফ হাসান শেষ ওভারে বল তুলে দেন আফিফকে। মালোশিয়ার তখন প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ৫ রান এবং ছিল ৩ উইকেট। সব কিছু ছাপিয়ে মালোশিয়ার তখনও ছিল ক্রিজে একজন ভিরানদীপ সিং।
তবে আফিফ হোসেন ধ্রুবর প্রথম ৩টি বলে আসেনি কোন রান। তাদের এখন প্রয়োজন ৩ বলে ৫ রান আর ৪ করতে পারলে ড্র। তখনই ৪র্থ বলে আফিফের শিকার হয়ে যায় ভিরানদীপ। তবে মালোশিয়ার তখনও সুযোগ ছিল। শেষ দুই বলে আসে ২টি সিঙ্গেল। বাংলাদেশ নাটকীয়ভাবে পেয়ে যায় জয় ২ রানে।
টসঃ বাংলাদেশ (ব্যাট)
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১১৬/৫
(সাইফ ৫০*, আফিফ ২৩, শাহাদাত ২১, জাকের ১৪*; পবনদীপ ২/১২, আনোয়ার ১/২৩, উন্নি ১/৪৬)
মালয়েশিয়া : ২০ ওভারে ১১৪/৮
(বিরানদীপ ৫২, আজিজ ২০, হাফিজ ১৪, উন্নি ১৪; আফিফ ৩/১১, রিপন ৩/১৪, রিশাদ ১/২২, রাকিবুল ১/২৬)
ফল : বাংলাদেশ ২ রানে জয়ী।