হিমাচাল প্রদেশের থারামশালা স্টোডিয়ামে বাংলাদেশ দল তাদের ২য় ম্যাচের খেলায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। এর আগের ম্যাচে এই একই মাঠে আফগানিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হাড়ায়। সেই একই প্রত্যাশা রেখে বাংলাদেশ মাঠে নামে। দলে এক পরিবর্তন ; মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এর বদলি হিসাবে মাহাদি হাসানকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ টসে জিতে বোলিং করবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তই বুঝি কাল হয়ে দাড়ায় বাংলাদেশের পক্ষে। কারন বাংলাদেশের বোলাররা করেছে বেশ স্ট্রাগল। এইদিন ইংলিশ ওপেনার ডাউয়িড মালান ও জনি ব্রেস্ট বোলারদের উপর চরাও হন এবং দুজন মিলে ১১৫ রানের ১ম উইকেটে দারুন এক জুটি গড়েন মাত্র ১০৭ বলে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্র্যাক থ্রু এনে দেয় সাকিব আল হাসান।
তবে এইদিন ইংল্যান্ডের হয়ে অনন্য নিদর্শন দেখান ডাউয়িড মালান। তিনি ব্যাক্তিগত ১৪০(১০৭) রান করে কাটা পড়েন মাহাদি হাসানের বলে। তাছড়া বাটলার ২০(১০),জো রুট ৮২(৬৮)। ইংল্যান্ডের ভয়ানক ফিনিশার লিয়াম লিভিংস্টোনকে প্রথম বলেই ০০ রানে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। এমনকি জো রুট ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলারকেও ফিরান শরিফুল।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল তারা ৪০০ রান পার করে ফেলবে। তবে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা জ্বলে উঠে। মাহাদি হাসান মাত্র ৭১ রানের খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ইংল্যান্ড শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৬ রান নিতে গিয়ে খুইয়েছে ৬টি উইকেট। ইংল্যান্ডকে থামায় বাংলাদেশ ৩৬৪ রানে।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৬৫ রান। এই লক্ষ্য ভেদ করতে পারলে,বাংলাদেশের ইতিহাসে যেকোনো মাঠে এবং যেকোনো দলের বিপক্ষে লক্ষ্য তারা করায় ইতিহাস গড়বে।